কলকাতা: অনস্ক্রিনে তাঁদের আক্ষরিক অর্থেই সাপে নেউলে সম্পর্ক। একজন ধারাবাহিকের নায়িকা, অন্যজন খলনায়িকা। কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ হলেই দুই মাথা আবার এক। সারাদিন হাসি, ঠাট্টা, গল্প। 'পঞ্চমী' ধারাবাহিকের নায়িকা 'পঞ্চমী' ও খলনায়িকা 'চিত্রা'-র মধ্যে বন্ধুত্বের গল্প থেকে শুরু করে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শুনল এবিপি লাইভ (ABP Live)।


শ্যুটিং সেটে নাকি খুব মজা করেই সময় কাটান পঞ্চমী অর্থাৎ অভিনেত্রী সুস্মিতা দে (Sushmita De) আর 'চিত্রা' ওরফে শিঞ্জিনী চক্রবর্তী (Shinjini Chakraborty)। তাঁদের একটি বিশেষ এপিসোড আসছে ২৭ তারিখেই। ধারাবাহিকে নীলু নামে এক শিশু হঠাৎ সাহায্য করতে আসবে পঞ্চমীকে। কে এই নীলু? স্বয়ং মহাদেব নাকি অন্য কেউ, সেই নিয়েই এগিয়ে যাবে গল্প। ধারাবাহিক পঞ্চমীর গল্প রূপকথার মতোই। নায়িকা, খলনায়িকা, সবাই ইচ্ছাধারী নাগিন। তবে বাস্তবে সাপকে প্রচন্ড ভয়ই পান এই দুই বান্ধবী। 


কাট বললেই নাকি হাসাহাসি, গল্প চলতে থাকে সেটে, আর ক্যামেরা চালু হলেই রণংদেহী একে অপরের প্রতি। শিঞ্জিনী বলছেন, 'এটা বোধহয় ফ্লোরেই হতে পারে শুরু। ক্যামেরা অন হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আমি আর সুস্মিতা হয়তো খুব গল্প করছি। ক্যামেরা চালু হতেই একে অপরকে শেষ করে ফেলবোর মতো অভিনয় শুরু করে দিই।' বান্ধবীকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে সুস্মিতার বক্তব্য, ' আমাদের সংলাপগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ যে হাসাহাসি করতে গিয়ে একটা সংলাপ, একটা এক্সপ্রেসন মিস করলেও মুশকিল। তবে পঞ্চমী ভাল সাপ। ও কাউকে শেষ করে ফেলতে চায় না। কেবল ক্ষতিটুকু আটকাতে চায়। চিত্রা চায় পঞ্চমীকে শেষ করতে।' হেসে ফেলে শিঞ্জিনী বলে ফেলেন, 'সাপ আবার ভাল'


শ্যুটিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কোন অংশটা মনে হয়? 'আউটডোর শ্যুটিংয়ের বেশ কিছু জায়গা।' শিঞ্জিনী বলছেন, 'আউটডোর শ্যুটিংয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা হয়। একবার খুব অন্ধকারে দাঁড়িয়ে শ্যুটিং করছি। হঠাৎ এক সহকর্মী বললেন, 'তুমি তো নকল সাপ। এখানে আসল সাপও রয়েছে অনেক।' এইসব শুনলে মনে হয় আর বেঁচে ফিরব না।' সঙ্গীর কথায় হেসে ফেললেন সুস্মিতা। তারপরে বললেন, 'আর পঞ্চমীর তো জুতো থাকে না কখনও। খালি পায়ে কড়া রোদে দিনের পর দিন শ্যুটিং করাটা খুব সোজা নয়।'


 


আরও পড়ুন: Pushpa Dubbing: ডাবিং-এর সময় অনেকটাই ঘষামাজা করতে হয়েছিল সংলাপ, 'পুষ্পা' প্রসঙ্গে জানালেন শ্রেয়স