কলকাতা: বাংলা ধারাবাহিকের গল্পের নিরিখে 'সোহাগ চাঁদ' (Sohag Chand) খানিক বদলের হাওয়া আনে। কালার্স বাংলার (Colors Bangla) এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'বডি পজিটিভিটি'র (Body Positivity) মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরেছে ছোটপর্দায়। অন্বেষা রায় মুখোপাধ্যায় ও অভিষেক বীর শর্মার অভিনয়ে 'সোহাগ চাঁদ' ধারাবাহিক ধীরে ধীরে ৬০০ পর্ব পার করে ফেলল। মাইলফলকে পৌঁছে সেলিব্রেশন না করলে হয়?
৬০০ পর্ব পার 'সোহাগ চাঁদ' ধারাবাহিকের
কালার্স বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'সোহাগ চাঁদ' পার করল ৬০০ পর্ব। টানটান নাটকীয় গল্প ও অ্যাকশনের মাঝেই সেটে হল মাইলফলকের উদযাপন। ২৮ নভেম্বর, ২০২২ সালে শুরু হয় এই ধারাবাহিকের পথচলা। সোহাগ ও চাঁদের গল্প বেশ পছন্দ করেন দর্শক। এই বিশেষ দিনে ধারাবাহিকের সমস্ত কলাকুশলীরা একত্রিত হয়ে সেটেই কেক কাটেন। হুল্লোড়ে মাতেন।
সোহাগ একজন 'প্লাস সাইজ' আদ্যন্ত রোম্যান্টিক মহিলা। সে ব্যাঙ্ক কর্মচারী। তাঁর চেহারার জন্য প্রায় ৩৪ জন পাত্র তাঁকে বাতিল করেছে। কিন্তু তথাকথিত 'নিখুঁত' মহিলা হয়ে উঠতে একেবারেই রাজি নয় সে। বলা ভাল, সে বিশেষ ভাবিতও নয় সেই বিষয়ে। সে বিশ্বাস করে যে একদিন সে নিজের 'প্রিন্স চার্মিং'কে খুঁজে পাবে যে তাঁকে তাঁর ভিতরের সৌন্দর্য্যের জন্য ভালবাসবে। অন্যদিকে চাঁদ 'ফিটনেস ফ্রিক'। সে নিজের একটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি খুলতে চায়। সে নিজের জন্য এমন একজন পাত্রী খুঁজছে যে সুন্দরী ও নিখুঁত, ভারী ওজনের একেবারেই নয়। যদিও সোহাগ ও চাঁদ ছোটবেলার বন্ধু ও প্রতিবেশী। গল্পের ফেরে তাঁদের শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়। এরপর ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে প্রায় বছর ৬ পর ফের মুখোমুখি সোহাগ ও চাঁদ।
কোথায় দাঁড়িয়ে এখন ধারাবাহিকের গল্প?
চরকির ক্লাসের বন্ধুকে অপহরণ করা হয়েছে। বাচ্চা মেয়েটার যেন দুনিয়া ওলটপালট হয়ে গেছে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে সাহসী চরকি কোনওভাবে বেরিয়ে পড়ে এবং সাহায্য খুঁজতে শুরু করে। নিজের অঙ্কন ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পুলিশকে অপহরণকারীর একটি স্কেচ এঁকে দেয় সে। প্রায় হুবহু অপরাধীর সঙ্গে মিলে যায় সেই ছবি এবং ছোট্ট বয়সেও এই শিল্পক্ষমতা চরকির মধ্য়ে দেখা যায়। তার স্কেচের সাহায্যেই অপহরণকারীকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং সুরক্ষিত অবস্থায় তার বন্ধুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। নিজের এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে চরকি সিদ্ধান্ত নেয় সে আরও ব্যক্তিগত এক রহস্যের সমাধান বের করবে - নিজের বাবাকে খুঁজে বের করবে। সোহাগই একমাত্র যে চরকির বাবাকে চেনে, বা তার সম্পর্কে জানে। তাই চরকি এসে সোহাগের কাছে কাকুতি-মিনতি করতে থাকে যে সে যেন তার বাবার বর্ণনা দেয় যাতে তার একটা ছবি চরকি আঁকতে পারে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সোহাগ রাজি হয় এবং চরকির স্কেচ তৈরির জন্য বর্ণনা দিতে থাকে। চরকি যত তার স্কেচের পথে এগিয়ে চলে ততই উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। তার ট্যালেন্ট কি এবার তার বাবার আসল পরিচয় ফাঁস করে দেবে?
এরপর কী হতে চলেছে তা জানা যাবে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা ৭টায়, কালার্স বাংলায় ও যে কোনও সময়ে জিও সিনেমায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।