কলকাতা: কলকাতা: তুলসী (Tulsi) ও শানায়ার (Shanaya) মধ্যে শুরু হল প্রতিযোগিতা। কে জিতল? কে হারল? অন্যদিকে যোগা ট্রেনার নিয়ে এসেছে অনি (Ani), তার নাম বেবো (Bebo)। গোটা সপ্তাহে ছোটপর্দার কোন গল্পে আসতে চলেছে কী কী ট্যুইস্ট? দেখে নেওয়া যাক টেলি মশালা (Telly Mashala)। 


'ফেরারি মন' (Pherari Mon)


টানটান উত্তেজনা কালার্স বাংলার ধারাবাহিক 'ফেরারি মন'-এ। তুলসী ও শানায়ার মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। কিন্তু সেই লড়াইয়ে হেরে যায় তুলসী। নিজের জয় অগ্নির সঙ্গে উদযাপন করে শানায়া, এবং ছল করে অগ্নিকে মদ্যপান করিয়ে দেয়। অগ্নির অচেতন অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে তা ভিডিও রেকর্ড করার চেষ্টা করে শানায়া। এর মাধ্যমে সে প্রমাণ করতে চায় যে অগ্নি তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির থেকে অগ্নিকে বাঁচিয়ে নেয় তুলসী। ভবিষ্যতের অপমানের হাত থেকে রক্ষা পায় অগ্নি।


'তুমি যে আমার মা' (Tumi Je amar Maa)


এক নতুন যোগার ট্রেনার নিয়ে আসে অনি। তার নাম বেবো। বাড়ির সকল পুরুষ সদস্য মোহিত হয়ে যায় বেবোর রূপে। অন্যদিকে তাকে দেখে ঈর্শান্বিত বোধ করতে থাকে বাড়ির মহিলা সদস্যরা। ফলে নানা কায়দায় পুরুষদের মন জয়ের চেষ্টা করতে থাকে তারা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় নিজেদের স্বামীদের সায়েস্তা করতে তারা বেবোর প্রেমিক মোহিতকে নিয়ে আসে বাড়িতে।


'রাম কৃষ্ণা' (Ram Krishnaa)


সাবিত্রী পুজো উপলক্ষ্যে কৃষ্ণাকে একটি কাজের দায়িত্ব দেয় নারায়ণ। যাতে ক্ষেপে যায় কৃষ্ণা। মন্দিরে কৃষ্ণার গায়ে সাপ পড়ে যেতে রাম সময় মতো তাকে বাঁচিয়ে নেয়। রামকে শিক্ষা দিতে কৃষ্ণা পুকুরে পড়ে যায়। রাম সেখান থেকেই কৃষ্ণাকে বাঁচায়। অম্বার সালোয়ার রাম কৃষ্ণাকে পরতে দেয়। রাম তাঁর কালভৈরবের আচার শুরু করে। কৃষ্ণা তৈরি হয় প্রতিশোধ নিতে। মৌচাকে ঢিল মেরে রামের আচার নষ্ট করে দিতে চায় সে, কিন্তু সে এটা ভাবে না যে মৌমাছি মন্দিরের সকলকে আক্রমণ করবে। চিন্টুকে মৌমাছি কামড়ানোর পর সে চিন্তায় পড়ে। অন্যদিকে বিক্রম আঁখির সঙ্গে দেখা করে। আঁখির প্রেমে পড়ে যায় সে। অম্বালিকা নিজের পোশাক নিয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। রাম এরপর কৃষ্ণাকে বলে অম্বার পোশাক ফিরিয়ে দিতে। কৃষ্ণা একটি শর্ত রাখে। তা হল রাম যেন সহকর্মী হিসেবে তাঁর সঙ্গে ব্যবহার করে, অধস্তন কর্মী হিসেবে নয়। 


'কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ' (Kamala O Sreeman Prithwiraj)


অষ্টমঙ্গলা থেকে ফিরে মানিক ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করে। বিদ্যাধরী স্ত্রীয়ের অশিক্ষিত স্বামী বলে তাকে বিরক্ত করতে থাকে লোখা। মানিক তাকে সপাট উত্তর দেওয়ার কথা ভাবে। কমলা তার স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। কমলাকে সাহায্য করে মানিক। অন্যদিকে মুখুজ্যে বাড়িতে ফলহারিণী কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: 


'হরগৌরী পাইস হোটেল' (Horogouri Pice Hotel)


ঘোষ ভিলায় ফলহারিণী কালীপুজো হবে। পিকু ও ঝিলমিলকে আঁকা শেখাচ্ছে প্রভাকর। অন্যদিকে ঝিলমিলের ঘরে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয় পিকু। কিন্তু এই কাণ্ড করতে গিয়ে ঘরে আটকে পড়ে পিকু, যাকে বাঁচায় ভেবলি। গোটা পরিবারের সামনে মিতালির ইতিহাস ফাঁস করে দিতে চেষ্টা করে ঐশানী। কিন্তু নিজের পরিকল্পনায় কি সফল হবে সে?