কলকাতা: দেখতে দেখতে ২০০ পর্ব পার। কোন নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে কালার্স বাংলার 'ফেরারি মন' ধারাবাহিকের গল্প? গোটা সপ্তাহে ছোটপর্দার কোন গল্পে আসতে চলেছে কী কী ট্যুইস্ট? দেখে নেওয়া যাক টেলি মশালা (Telly Mashala)।
'ফাগুনের মোহনা' (Phaguner mohona)
আয়ুশ আর ঐন্দ্রিলার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে দ্রুত গতিতে। বাড়িময় আনন্দের সমাবেশ, সবাই খুব খুশি, খুব তোরজোড় করে চলছে মেহেন্দি পর্ব, গায়ে হলুদ এবং সঙ্গীত পর্ব। একদিকে বেড়ে চলেছে রুমঝুমের প্রতি আকাশের ভাল লাগা, আর অন্যদিকে দূরে চলে যাচ্ছে মোহনার ভালবাসা। এবার কি করবে রুমঝুম?
'ফেরারি মন' (Pherari Mon)
তুলসী, এক মেধাবী নারী, যে জীবন কিছু আদর্শে বাঁচে ও লড়াই করতে জানে। ছোটবেলা থেকেই যা সঠিক, তার পক্ষেই থেকেছে সে। অন্যদিকে অগ্নির চরিত্র একেবারে উল্টো। ক্ষমতাসম্পন্ন এক পরিবারের অহঙ্কারী ছেলে সে। নিজের ইচ্ছামতো জিনিস আদায় করতে সর্বদা সে নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করেছেন তিনি। জীবনে সবকিছুই এত সহজে সে পেয়ে গেছে যে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল তার বিচার অগ্নি করতে জানে না। কলেজে অগ্নি ও তুলসীর আলাপ হয়। প্রথম থেকেই শুরু হয় ঝগড়া। কিন্তু ঝগড়া, দ্বন্দ্ব, একেবারে ভিন্ন দুই চরিত্রের হওয়া সত্ত্বেও গল্পের ফেরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তাঁরা। তুলসী ও অগ্নির দুষ্টুমিষ্টি প্রেমের কাহিনি দর্শকের মন জয় করেছে। জনপ্রিয় বাংলা বিনোদন চ্যানেল 'কালার্স বাংলা'য় প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেখা যায় 'ফেরারি মন'। সম্প্রতি এই ধারাবাহিক ২০০ পর্ব পূর্ণ করে ফেলেছে। কেক কেটে সেটেই হল উদযাপন।
নায়িকা নং ১ (Nayika No. 1)
শিলা বাংলা ট্যালেন্ট হান্ট কম্পিটিশনে অডিশন দিতে যায়। সেখানে গিয়ে সে মহাতারকা (superstar) বিজয় ও মেঘ চৌধুরীর মুখোমুখি হয় বিচারকের আসনে। অডিশনে জিতে যায় শিলা। কিন্তু সে এও বুঝতে পারে যে আগামী দিনে তাঁর লড়াই কঠিনতর হতে চলেছে। অন্যদিকে প্রতিশোধ নিতে শিলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করে দেয় মেঘ চৌধুরী। সেটা শিলা বুঝতে পারে ও শুদ্ধকে জানায়। সবকিছু শুনে শিলাকে শুদ্ধ এটাই বোঝায় যে সে কোনওভাবেই হারতে পারবে না। প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে শিলা, কিন্তু কোথাও গিয়ে একটা তাঁর মনে হয় যে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সে জিততে পারবে না। মেঘ চৌধুরীর নির্দেশ অনুযায়ী শিলার জন্য কোনও মেন্টরের ব্যবস্থা করা হয়নি। শিলা একজন নতুন মেন্টর পায় যিনি শিলার মধ্যে সেরাটা বের করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে যদিও মেঘ তাকে সতর্ক করে। শিলার ফাইনাল পারফর্ম্যান্সের আগে তাকে মঞ্চে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে সে। বিদ্যা বসুর দেখানো পথে এগিয়ে শীলা কি পারবে তার তারকা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে?
টুম্পা অটোওয়ালি (Tumpa Autowali)
বিয়ের পরেও অটো চালাচ্ছে টুম্পা। পরিচিত বৃদ্ধার প্রশ্নের জবাবে টুম্পার সপাট জবাব, বিয়ে হোক বা না হোক, সে অটোওয়ালি। লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াতে জানে সে। পথে যতই বাধা আসুক না কেন, টুম্পা জানে ঘুরে দাঁড়াতে। সে ঘুরে দাঁড়াবেও। তারপর? তার জীবনে আসছে নতুন কোন মোড়?