কলকাতা: ঝিলমিল আর আবিরের মিষ্টি সমীকরণ, জগদ্ধাত্রীর অ্যাকশন, পর্ণা আর তার শাশুড়ির টক মিষ্টি লড়াই.. বসার ঘরের সন্ধেটা তো জমিয়ে রাখেন এরাই। সপ্তাহের শুরুতেই এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক.. গোটা সপ্তাহে ছোটপর্দায় কোন গল্পে আসতে চলেছে কী কী ট্যুইস্ট?


তোমার খোলা হাওয়া


রেস্তোরাঁর হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয়তা ফেরাতে মরিয়া ঝিলমিল। তার বুদ্ধিতে বাড়ির সবাই একসঙ্গে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা, প্রতিদিন বাঙালিয়ানা রেস্তোরাঁটি বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। আবিরকে লুকিয়ে তারা রান্না করে পৌঁছে দেয় মানুষের ঘরে ঘরে। পয়লা বৈশাখের দিনে ঝিলমিলের নিমন্ত্রণ রাখতে রেস্তোরাঁয় এসে হাজির হন অনেকে। আবিরক সেখানে এনে চমকে দেয় ঝিলমিল। নতুন বছরে আবিরও কি বিশেষ কোনও পরিকল্পনা করবে ঝিলমিলের জন্য। 


জগদ্ধাত্রী


জোরকদমে চলছে মুখোপাধ্যায় বাড়িতে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। হঠাৎ দিব্যা সেনে পরিকল্পনা মাফিক বিয়েবাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। কৌশিকীর ক্ষতি করার জন্যই এই পরিকল্পনা করে দিব্যা। মালাবদলের সময় কৌশিকীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা করা হয়। তখনই জগদ্ধাত্রী আক্রমণ করে তাদের। কৌশিকীর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াই করে সে। সবাই অবাক হলে জ্যাজ বা জগদ্ধাত্রীর কাছে আসে। বিয়ে সুসম্পন্ন হয়।


খেলনাবাড়ি


গুগলির কলেজ ফেস্টে একসঙ্গে পারফরমেন্স করে গুগলি ও মিতুল। গুগলি পাশ্চাত্য নাচ করলে, মিতুল ভরতনাট্যম নাচ করে। দুজনের আলাদা আলাদা নাচ। এরই মধ্যে চক্রান্ত করা হয় মিতুলকে খুন করার জন্য। তাতে সাহায্য় করে শিবা। কিন্তু শিবার লোকজন ভুল করে মিতুলের বদলে অপহরণ করে আনে গুগলিকে। মেয়েকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিতুল। সফলও হয় সে। কিন্তু গুগলিকে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ মিতুলের পথ আটকে, তার দিকে বন্ধুক তাক করে দাঁড়ায় শিবা।


নিম ফুলের মধু


চ্যালেঞ্জে জয়ী হয় পর্ণা। বাড়ির মহিলারা সবাই হইহই করে শাড়ি ছেড়ে রাতপোশাক পরতে পারে। হঠাৎ বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। ছোট কাকাকে গ্রেফতার করে তারা। ছোটকাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার প্রেমিকাকে অপহরণ করার। তারই ওই প্রেমিকার স্বামী পুলিশে অভিযোগ জানায় ছোটকাকার বিরুদ্ধে। পর্ণা এই রহস্যের শেষ দেখে ছাড়বে বলে ঠিক করে।


গৌরী এল


গৌরী বুঝতে পারে, সে অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু নিজের সন্তানের সুরক্ষার জন্য বাড়ির সবার থেকে এই খবর গোপন করে গৌরী। এরই মধ্যে গৌরীর পালিত বাবা নিবারণের সঙ্গে এমন একজনের দেখা হয়, যে ঈশানকে মারা যেতে দেখেছে। সে বলে, পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়নি ঈশান। বন্য প্রাণীরাই তাকে মেরে ফেলেছে। এই খবর গৌরীর সমস্ত আশাকে যেন শেষ করে দেয়। ইতিমধ্যে শৈলর সঙ্গে পরিকল্পনা করা ওই মানুষটিকে বাড়িতে আনার কথা হয়। উদ্দেশ্য, ঘোষাল পরিবার যেন বিশ্বাস করে ঈশান আর নেই। অন্যদিকে গ্রামে, সাধুর বেশে বসবাস শুরু করে ঈশান। আর বাড়িতে গৌরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা জানতে পেরে তার সন্ধানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে শৈল।