নয়াদিল্লি: ১২ নভেম্বর, দীপাবলির মরশুমে (Diwali 2023) মুক্তি পেয়েছে 'টাইগার ৩' (Tiger 3)। ভক্তদের উন্মাদনার সঙ্গে পাল্লা দিতে ভোর ৬টা থেকেই শুরু হয় একাধিক প্রেক্ষাগৃহে শো। উল্লাস, উচ্ছ্বাস, অনুরাগীদের সেলিব্রেশনও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এরই মধ্যে ঘটেছে অঘটনও। মালেগাঁওয়ের মোহন থিয়েটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেন? শোনা যাচ্ছে যে সিনেমা হলের মধ্যে সারি দিয়ে বাজি ফাটানো হয়, 'টাইগার ৩' ছবির মুক্তি উদযাপন করতে এবং যার থেকে স্বাভাবিকভাবেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। 


প্রেক্ষাগৃহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের


মালেগাঁওয়ের মোহন থিয়েটারের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে FIR। কারণ প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেই ফাটানো হয় বাজি। হলের মধ্যেই রকেট উড়ে আসতে থাকে এবং প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই এই দৃশ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সকলেরই মধ্যে এবং তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসনও। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু'জনকে আটক করা হয়েছে এবং একটি চাওয়ানি পুলিশ স্টেশনে ১১২ ধারার অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। 


'টাইগার ৩' মুক্তি পেয়েছে গতকাল। একটি ভিডিও এক্স (পূর্ববর্তী ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁওয়ের মোহন সিনেমাহলের অন্দরে বাজি ফাটানো চলছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে সাধারণ দর্শক প্রাণ বাঁচাতে যেদিকে পারছেন সেদিকে ছুটছেন। 


 






'টাইগার ৩' দীপাবলি উপলক্ষে (১২ নভেম্বর) বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। শুক্রবারে বদলে কৌশল পরিবর্তন করে আরও বেশি দর্শক আকর্ষণের কথা মাথায় রেখেই একটি সরকারি ছুটির দিন বেছে নেওয়া হয় নির্মাতাদের তরফে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে ঠাসা, ফ্যাব্রিক দ্বারা বেষ্টিত সিনেমাহলের মধ্যে আতসবাজি ফাটানো গুরুতর দুর্ঘটনার কারণ হতেই পারে। তারকাদের ছবি মুক্তি পেলে অনেক ক্ষেত্রেই উন্মাদনা মাত্রা ছাড়া হয় এবং পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু এতটা বাড়াবাড়ি কেন হল এবং তা কেন নিয়ন্ত্রণের যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না, প্রশ্ন উঠছে। 


আরও পড়ুন: Tiger 3: তিন দিনেই ১০০ কোটি ছুঁতে পারে 'টাইগার ৩' ! বক্সঅফিসে ঝড় তুলল সলমনের ছবি


অন্যদিকে এবিপি লাইভের রিভিউ অনুযায়ী, 'এক থা টাইগার' ও 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' ছবির থেকে তৃতীয় সংস্করণ অনেক বেশ আকর্ষণীয় এবং অন্তহীন ফ্ল্যাশব্যাক দৃশ্য থাকা সত্ত্বেও দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে এই ছবি। এমনকী, এটা বলা একেবারেই অত্যুক্তি হবে না যে সলমন খান বারবার তাঁর অনুরাগীদের টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে মন ভরিয়েছেন। এবারেও যে আশা তৈরি হয়েছিল সেই মাত্রা ছুঁয়েছেন তিনি। দীপাবলির দিন বেশ সকালের শোতেও ফুলহাউজ থাকা, তাঁকে ঘিরে উন্মাদনার উদাহরণ বটে, কিন্তু ফিল্মটির পারফর্ম্যান্স কেমন তা অনুমান করা যায় একই পরিমাণ ভিড় থেকে বেরিয়ে আসা কন্টেন্ট অনুভব করে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial