মুম্বই: যেকোনো বিষয়েই নিজের স্পষ্ট মত দিতে পছন্দ করেন উরফি জাভেদ (Uorfi Javed)। সে তাঁর পোশাককে কেন্দ্র করেই হোক কিংবা বলিউড প্রসঙ্গে। সম্প্রতি তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বললেন। জানালেন তাঁর ছেলেবেলাটা একেবারেই আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতো কাটেনি। তাঁর বাবার আচরণ ছিল আপত্তিজনক। এবং তিনি অনেকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন।


ব্যক্তিগত জীবন প্রসঙ্গে উরফি জাভেদ-


সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে উরফি জাভেদ জানান যে, তাঁর ছেলেবেলাটা কেটেছে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে। তিনি এবং তাঁর অন্য ভাইবোনেরা বাবার অত্যাচারের শিকার হতেন। তাঁর মায়ের উপরও বাবা অত্যাচার চালাতেন। উরফি বলছেন, 'বাবা আমাদের খুব মারতেন। আমাদের মাকেও মারতেন। মৌখিকভাবেও অত্যাচার চালাতেন। নানা খারাপ কথা বলতেন। প্রতিদিন অত্যন্ত বাজে গালিগালাজ করতেনয আমি অনেকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। আমি বাড়িও ছেড়ে দিতাম। কিন্তু বাবা তাতে বাধা দেন। তাই সারাদিন টিভি দেখতাম। এরপরই ফ্যাশন জগত সম্পর্কে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। আমার সেরকম কোনও ফ্যাশন সম্পর্কে জ্ঞান নেইয কিন্তু এটা জানি যে, কীভাবে আমাকে দেখতে সকলের থেকে আলাদা লাগবে। এরপর আমি নিজের মতো করে ফ্যাশন করতে শুরু করি। যেখানেই যেতাম, লোকে আমার দিকে দেখতে শুরু করে।'


আরও পড়ুন - Selfiee Box Office Collection: ফের ব্যর্থ! প্রথমদিন কত টাকার ব্যবসা করল 'সেলফি'?


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে যশরাজ ফিল্মসের ডকু সিরিজ 'দ্য রোম্যান্টিকস'। স্ট্রিমিং জায়েন্ট নেটফ্লিক্সে এটি দেখা যাচ্ছে। সেখানে ছবি নির্মাতা আদিত্য চোপড়াকে নেপোটিজম প্রসঙ্গে নানা কথা বলতে দেখা গিয়েছে। নিজের ভাই উদয় চোপড়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি নেপোটিজম প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে বড় প্রযোজনা সংস্থার পরিবারের সদস্য হয়েও অভিনেতা হিসেবে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেননি উদয়। তাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সবার আগে একজন অভিনেতার জন্যই দরজা খোলা থাকে। দর্শকেরাই ঠিক করেন তাঁরা কাকে দেখবেন, কাকে পছন্দ করবেন। আদিত্য চোপড়া বলেন, 'একটা বিষয় সাধারণ মানুষের নজরে পড়ে না যে, বিশেষ অধিকার পাওয়া ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসলেও সকলে সফল হন না। আমি অন্য কারও কথা না বলে নিজের পরিবারের কথাই বলতে চাই। আমার ভাই একজন অভিনেতা। কিন্তু সে একজন সফল অভিনেতা নয়। কিন্তু সে সবথেকে বড় একজন ছবি নির্মাতার সন্তান। তার ভাইও বড় ছবি নির্মাতা। আর একবার কল্পনা করার চেষ্টা করুন, সে যশরাজ ফিল্মসের মতো প্রযোজনা সংস্থার পরিবারের সদস্য। যারা কিনা প্রায় সমস্ত নবাগতদের লঞ্চ করে থাকে। আর তারাই উদয় চোপড়াকে তারকা বানাতে পারেনি। কেন আমরা ওকে সফল অভিনেতা বানাতে পারলাম না? কারণ, দর্শকেরাই শেষ কথা বলেন। তাঁরাই ঠিক করে দেন কাকে দেখবেন আর কাকে দেখবেন না। আর কেউ এটা ঠিক করতে পারে না।' নেপোটিজম প্রসঙ্গে আদিত্য চোপড়ার এই মত প্রকাশের পরই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে নিজের বক্তব্য রাখেন উরফি জাভেদ। দীর্ঘ একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, 'ওঁর (আদিত্য চোপড়া) এই বিবৃতি আমাকে বিরক্ত করেছে মারাত্মকভাবে। নেপোটিজম মানে সাফল্য নয়। নেপোটিজম মানে সুযোগ। উদয় চোপড়াকে দেখতে সুন্দর নয়। মানে এটা কোনও বিষয়ই নয় বলার, কিন্তু আমি বলছি। তিনি একজন ভালো অভিনেতাও নন। বক্স অফিসে তাঁর ছবি লাগাতার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি কাজ পেয়ে গিয়েছেন। যদি বলিউডের বাইরে থেকে এমন কেউ আসেন, লাগাতার ছবি ব্যর্থ হওয়ার পর আর এভাবে সুযোগ পেতেই থাকবেন না। আপনারা কি এভাবে নেপোটিজমকে এড়াতে চাইছেন?'