মুম্বই: প্রথম দিনের সাফল্যের পর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে শুরু হল এবিপি নেটওয়ার্কের (ABP Network) 'আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া'-র (Ideas Of India) দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন। রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সমাজকল্যাণ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্য়ক্তিত্বরা আসেন এদিনের অনুষ্ঠানেও। অতিথি-তালিকায় প্রথম ছিলেন ইনফোসিস-প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তি (N R Narana Murthy)। 


দু-চার কথা...
দেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলেও রীতিমতো সমাদৃত নারায়ণমূর্তি। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলাদা করে তুলে ধরেছেন এই বর্ষীয়ান শিল্পপতি।


কী বললেন?
ইনফোসিস-প্রতিষ্ঠাতার মতে 'বসুধৈব কুটুম্বকম' ও 'সর্বে ভবন্তু সুখিনাম'-র যে ভারতীয় চিন্তাধারা, তা বাস্তবায়নের চেষ্টাই এখন একমাত্র লক্ষ্য আমাদের। ভারতের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি তৈরি গড়তে স্টার্ট আপ এবং নতুন উদ্যোগপতিদের কী ভূমিকা হতে পারে, এই প্রশ্নের উত্তরে বর্ষীয়ান শিল্পপতি জানান, ১৯৮১ সালে যখন ইনফোসিস শুরু করেছিলেন তখন সেখানে বহু আইআইটি-র ছাত্রছাত্রীরা কাজ করতেন। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যেটি নতুন সম্পূর্ণ উদ্যোগ ছিল, তা বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। এখনকার উদ্যোগপতিদেরও এরকমই অভিনব ভাবনা নিয়ে কাজ করতে হবে, মনে করেন তিনি।  তাঁর কথায়, 'আমি চাই এ দেশ ও এখানকার শিল্পপতিরা এমন বিষয় নিয়ে কাজকর্ম শুরু করুন যা নিয়ে বিশ্বের অন্য কোথাও কাজ হয়নি। এই ধরনের সমস্যাগুলি ভাবনাচিন্তা করা দরকার তাঁদের।'


উদ্যোগপতিদের উদ্দেশে বার্তা...
দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকেই কাজ করুন, সরকারি অনুদানের উপর ভরসা কমাতে হবে। দেশের শিল্পপতিদের উদ্দেশে বার্তা তাঁর। নারায়ণমূর্তির মতে, সরকারি অনুদানের উপর ভরসা করলে ব্যবসার গণ্ডি সঙ্কীর্ণ হয়ে আসবে যা কিনা হতাশা তৈরি করতে পারে। সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নে সময় লাগে। তত দিন যাতে কোনও প্রতিভা খরচের ফালতু নষ্ট না হয়, সেটি দেখা দরকার।


মুনলাইটিং প্রসঙ্গে...
বর্ষীয়ান শিল্পপতির কথায়, 'এই বিষয়ে আমার মতামত সামান্য আলাদা। ভারত সফটওয়্যার ক্ষেত্রে প্রভূত সম্মান পেয়েছে এবং কর্মীরা তার জন্য ভীষণ পরিশ্রম করেছেন। যে কোনও সংস্থায় কাজের সংস্কৃতি তৈরি করতে হলে একটু শৃঙ্খলা থাকা দরকার। আর মুনলাইটিং বিষয়টি একেবারে নীতিসম্মত নয়। একজন পেশাদার কর্মী একই সঙ্গে কী ভাবে দুটি সংস্থায় কাজ করতে পারেন, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।'


ঋষি সুনককে নিয়ে...
২০১৩ সালে ঋষির বাবা-মার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে কখনও কথা হয়নি, জানান বর্ষীয়ান শিল্পপতি। তাঁর কথায়, 'আমি, আমার জামাই, তাঁর বাবা-মা শুধু পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আমি ওঁকে কোনও পরামর্শ দেওয়ায় বিশ্বাসী নই। উনি নিজেই বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তা ছাড়া আমার থেকে ভালো পরামর্শ দেওয়ার লোক ওঁর কাছেই রয়েছে।'


আরও পড়ুন:হৈমন্তী কি সম্পর্কে ছিলেন ? নাকি বিচ্ছেদ হয়েছিল গোপালের সঙ্গে? ব্যাঙ্ক নমিনি ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য