কলকাতা: প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে, ফুলে মহানায়ককে স্মরণ। আজ, ধন্যধান্য অডিটোরিয়ামে পালিত হল মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও বিশেষ অনুষ্ঠান। এদিন সম্মান জানানো হয় চলচ্চিত্র জগতের বেশ কিছু শিল্পীকে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চলচ্চিত্র এবং রাজনৈতিক জগতের পরিচিত ব্যক্তিরা। 


মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘মহানায়ক’ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হল অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar), পরিচালক-অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya) ও পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী (Horonath Chakraborty)। আজকের অনুষ্ঠানে, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


আজ, মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের একাধিক নায়ক-নায়িকারা। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra), সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Shayantika Banerjee), শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee), রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick), শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhasree Ganguly) ও নচিকেতা (Nochiketa)। এছাড়াও এদিন যাঁরা সম্মান পেয়েছেন, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তাঁরাও। উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও।


এদিনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিচারণা করে বলেন, 'আমরা আজকের দিনটাকে শ্রদ্ধাদিবস বলব। আজকে উত্তমকুমারের মৃত্যুদিবস। আমরা কখনও উত্তমকুমারের দর্শন পাইনি। কিন্তু আমার ছোট্ট একটা ঘটনা মনে আছে। আমি আর আমার মা একদিন বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন অনেকটা রাত। আমরা দেখলাম কয়েকজন ছেলে মেয়ে বলতে বলতে যাচ্ছে, উত্তমকুমার প্রয়াত হয়েছেন। ভীষণ মনখারাপ হয়েছিল। তখন উত্তমকুমারের মরদেহ রবীন্দ্র সদনে এনে রাখা হয়নি। আমরা সেসময় স্মরণ করতে পারিনি তাঁকে। কিন্তু আমরা সরকারে আসার গত ১১ বছর আমরা মহানায়কের পরিবারের সবাইকে নিয়ে উত্তমকুমারের স্মরণে এই অনুষ্ঠানে আয়োজন করি।'


এদিনকার অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'আজ যাঁরা মহানায়ক সম্মান পেলেন, তাঁদের জীবনে এই সম্মানটা ভীষণ গর্বের। নচি আর আমি আলোচনা করছিলাম। নচি আমায় বলল, দেখো দিদি উত্তমকুমারকে কেউ মহানায়ক তৈরি করেননি। তিনি নিজে নিজেই হয়েছেন। আমি নচিকে বললাম, সেকি, তোমার আর আমার ভাবনা এক হল কী করে! আমিও আজ ভাবছিলাম, উত্তমকুমারকে কেই মহানায়ক করেননি, মানুষ করেছেন। এই মহানায়ক নামটা মানুষের দেওয়া। মানুষই তাঁকে ভালবেসে মহানায়ক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর এতদিন পরেও উত্তমকুমারের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা প্রত্যেকবারই এই দিনটায় শিল্পীদের সম্মানিত করি। এছাড়াও যাত্রা, সঙ্গীত, চিত্রকলা, সাহিত্য সমস্ত জগতের শিল্পীদেরই আমরা সম্মানিত করি।'


আরও পড়ুন: Vidya Balan: বিদ্যা নয়, 'পরিণীতা' ছবির জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বর্য্য রাই


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial