কলকাতা: একে অপরের মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন, বৈদিক মতে সেরেছেন বিয়ে। চলছে হানিমুনের পরিকল্পনাও। আর তার মধ্যেই হাজির ভ্যালেন্টাইনস উইক। প্রেমের সপ্তাহ। কী কী পরিকল্পনা রয়েছে নববধূ মিমির? মনের কোন কথাটা বলা বাকি রয়েছে ওমকে? এবিপি আনন্দর সঙ্গে আড্ডায় মজলেন মিমি দত্ত।
প্রায় ১১ বছরের আলাপ, প্রেম, তারপর বিয়ে। প্রথম ধারাবাহিক 'আলোর বাসা'-তে মিমির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ওম সাহানি। তখন অবশ্য অভিনয় জীবনের বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে এসেছেন মিমি। কাজ করতে গিয়েই দুজনের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়, তৈরি হয় ভালোলাগা। কিন্তু তখন প্রেমের কথা স্বীকার করেননি কেউই। মিমি বলছেন, 'প্রথম দেখা থেকেই ওমকে ভালো লাগত। অভিনয় করতে গিয়ে মনে হত ওর মত জীবনসঙ্গী পেলে বেশ হয়। বুঝতাম ওমেরও আমায় ভালো লাগে। কিন্তু কেউ কখনও সেটা স্বীকার করিনি। অনেক বছর পর যখন আবার একসঙ্গে কাজ শুরু করলাম, দুজনেই ধরা দিলাম একে অপরের কাছে। মনে হল, এবার প্রেমটা করা যেতে পারে।'
ওম-মিমির দুজনেরই যৌথ পরিবার। আর শ্বশুরবাড়ি নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই মিমির। মোবাইল ফোনে বললেন, 'অনেকের মাথাতেই শ্বশুরবাড়ি বলতে একটা খারাপ ধারণা থাকে। আমার কিন্তু সেটা এক্কেবারে নেই। ওমের বাড়িতে কোনও মেয়ে নেই। আমি ওদের বাড়ির মেয়ের মত হয়ে গিয়েছি। শ্বশুর-শাশুড়ি আমার বাবা-মায়ের থেকেও বেশি। আমরা ২টো পরিবার একসঙ্গে পিকনিক করা থেকে শুরু করে ঘুরতে যাওয়া, পার্টি করা... সারাবছর আনন্দ করি। লকডাউনে জমিয়ে মজা করেছি বাড়িতেই।'
দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কে ওমের দেওয়া কোনও সারপ্রাইজ মনে পড়ে? মিমি বললেন, 'ওম সবার জন্মদিন ভুলে যায়। এমনকী আমার জন্মদিনও! একবার আমি জন্মদিনে শ্যুটিং করছি আর ভাবছি ওম নিশ্চয়ই আজকের দিনটা ভুলে গিয়েছে। সেই দিনটার পর আমার ছুটি ছিল। হঠাৎ ওম দার্জিলিয়ের টিকিট কেটে পাঠাল আমার মোবাইলে। পরের দিন সকালেই ফ্লাইট। শ্যুটিং ফ্লোরে দাঁড়িয়েই আমি যে কী খুশি হয়েছিলাম! সেই সফরটায় প্রচণ্ড মজা হয়েছিল। হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব, সমস্ত পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা নিজেরাই। একে অপরের ওপর একটা ভরসা তৈরি হয়েছিল তখন থেকেই।'
ঘুরতে যেতে খুব ভালোবাসে এই জুটি। মিমি বললেন, 'আমার খুব ইউরোপে যাওয়ার সখ। বিয়ের আগেও অনেক পরিকল্পনা করেছি। হানিমুনে ওখানেই যাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য আপাতত একটু পিছিয়েছে পরিকল্পনা। তার আগে একটা ছোট্ট সফর করে আসব ভাবছি।'
আজ প্রেমের সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। প্রপোজ ডে। বিয়ের পরেও যদি ওমকে প্রপোজ করার সুযোগ পান, কী বলবেন মিমি? একটু ভেবে মিমি বললেন, 'ওমকে বলব, তুমি আমার সঙ্গে বুড়ো হবে?' হেসে ফেললেন মিমি। হাসি সামলে আবার বললেন, ' সত্যি.. আমরা এইরকমই ভাবি। যখন অনেক বয়স হয়ে যাবে, ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে যাবে.. আমরা একটা পাহাড়ে গিয়ে থাকব। ওমের সঙ্গে এই কথা কত্ত বলি।'