মুম্বই: চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত গীতিকার আনোয়ার সাগর। বয়সজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। সত্তরের কোঠায় পৌঁছনো সাগরকে আজ দুপুরে সঙ্কটজনক অবস্থায় মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান ডাক্তাররা। সাগর রেখে গিলেন স্ত্রী, দুই সন্তানকে। আশি, নব্বইয়ের দশকে ডেভিড ধাওয়ানের ‘ইয়ারানা’, জ্যাকি শ্রফের ‘সপনে সাজন কে’, ‘খিলাড়ি’, ‘ম্যয় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, অজয় দেবগণের ‘বিজয়পথ’-এর মতো একাধিক ছবির জন্য গান লিখেছিলেন। তবে বলিউডে, হিন্দি ছায়াছবির গানের রসিক দর্শকদের মনে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ‘খিলাড়ি’ ছবিতে অক্ষয় কুমার, আয়েশা জুলেখার লিপে ‘ওয়াদা রাহা সনম’ গানটির জন্য, যা দুটি দশক পেরিয়ে আজও সমান হিট, জনপ্রিয়। করিশ্মমা কপূর, রাহুল রায়ের লিপে ‘ইয়ে দুয়া হ্য়ায় মেরি রব সে’-ও বিরাট জনপ্রিয় হয়েছিল।


প্রবীণ সাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটির বোর্ড সদস্য গায়ক সৈয়দ আহমেদ জানিয়েছেন, হার্ট সংক্রান্ত রোগে ভুগছিলেন তিনি, শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে। এই প্রবীণ গীতিকার ও আইপিআরএস সদস্যকে ‘ওয়াদা রাহা সনম’-এর মতো গান খ্যাতি এনে দিয়েছিল, তবে বিজয়পথ, ইয়ারানা-র মতো আইকন হয়ে ওঠা ছবির জন্যও গান লিখেছেন তিনি। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবারের জন্য রইল আমাদের সমবেদনা, প্রার্থনা। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। আনোয়ারের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের উল্লেখ করে সৈয়দ জানিয়েছেন, আমাদের প্রায়ই দেখা হত, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্কট নিয়ে কথা হত। ওনার মৃত্যু অবশ্যই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অপূরণীয় ক্ষতি।
বলিউড সাম্প্রতিক লকডাউন পর্বে কয়েকটি মণি-মুক্তোকে হারিয়েছে। বলিউডকে শূন্য করে চলে গিয়েছেন একের পর এক অনেকে। ইরফান খান,ঋষি কপূর পরপর মারা যান এপ্রিলে। গত সোমবার মাত্র ৪২ বছরে জীবনাবসান হয়েছে নামী গায়ক-সুরকার ওয়াজিদ খানের। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন, শেষ করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন। গত মাসে মারা যান পুরানো দিনের নামী গীতিকার যোগেশ গৌরও।