মেকআপ চলছে নিজের মনে, কিন্তু তাঁর মন অন্য় কোথাও। ফুরফুরে মনে গান গেয়ে চলেছেন বলিউড সুন্দরী। সম্প্রতি এমনই ভিডিও নিজের ইন্সটাগ্রামে  পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর মুখে মেকআপ চলছে, কিন্তু তিনি 'যাও পাখি বলো' গানটির সুরে গলা মিলিয়েছেন। মাঝে গানের কথা ভুলে গেলেও মুহুর্তে সামালও দিয়েছেন। ভিডিও পোস্ট করে বিদ্য়া ক্য়াপশনে লিখেছেন, Singing along to one of my favouritest Bengali songs “Jao pakhi bolo” from #Antaheen
@shreyaghoshal @radhikaofficial @rahulbose7


অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, নিজের পছন্দের গানে মোহিত হয়েই বিদ্য়ার এই ভিডিও পোস্ট।



প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ৪৪ বছরে পা দিয়েছেন 'ডার্টি পিকচার' অভিনেত্রী। বিদ্যা বালান জন্মগ্রহণ করেন মুম্বইয়ের এক তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে। কেরলের পালাক্কড়ে তাঁদের আদি বাড়ি। পি.আর. বালান ও সরস্বতীর দ্বিতীয় ও ছোট মেয়ে। বাড়িতে তিনি তামিল ও মালয়লম মিশ্রিত ভাষা বলে বড় হয়েছেন। ছোট থেকেই মনে মনে অভিনেত্রী হওয়ার বাসনা ছিল বিদ্যার। শাবানা আজমি, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিতের মতো অভিনেত্রীদের কাজ দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী তাঁর অভিনয়ের পথচলা শুরু করেছিলেন ছোটপর্দা থেকে। একতা কপূরের ধারাবাহিক 'হাম পাঁচ'-এ অভিনয় শুরু করেন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। চরিত্রের নাম ছিল রাধিকা। তবে বড়পর্দায় অভিনয়ের জন্য ধারাবাহিকের কাজ ছাড়েন। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় বিদ্যা বালানের কাছে মালয়লম তারকা মোহনলালের বিপরীতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের অফার আসে। প্রজেক্টের নাম 'চক্রম'। ছবির প্রথম দফার কাজ শেষ করেন অভিনেত্রী। একইসঙ্গে প্রায় এক ডজন ছবিতে সই করেন তিনি। কিন্তু তারপর প্রযোজনার কোনও সমস্যার কারণে 'চক্রম'-এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়, ও বিদ্যার গায়ে 'অশুভ' তকমা সেঁটে দেওয়া হয়। তাঁর একমাত্র সম্পূর্ণ শেষ করা মালয়লম ছবি 'কলরি বিক্রমণ' কিন্তু সেই ছবিও মুক্তি পায়নি। দক্ষিণী ছবিতে একের পর এক অসাফল্যের পর বিদ্যা বালান সিদ্ধান্ত নেন বিনোদন জগতের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী ছবির মাধ্যমে নিজের সংযোগ রাখবেন। সিনেমায় বড় ব্রেক পাওয়ার আগে প্রায় ৬০টি বিজ্ঞাপনী ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। 


আরও পড়ুন...


বিয়ে করলেন স্বরা, পাত্র সমাজবাদী পার্টির নেতা ফাহাদ আহমেদ


বাংলা ছবি 'ভাল থেকো'তে ডেবিউ করার পর বিদ্যা বালান 'পরিণীতা' ছবির জন্য অডিশন দেন পরিচালক প্রদীপ সরকারের সুপারিশে। যদিও প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া তৎকালীন এক তাবড় অভিনেত্রীকে ললিতার চরিত্রে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। তবে প্রায় ৬ মাস ধরে বিদ্যা বালানের একাধিক অডিশন ও স্ক্রিন টেস্টের পর প্রযোজক রাজি হন তাঁকে ললিতার চরিত্রে নিতে।'কিসমত কানেকশন', 'হে বেবি'র মতো ছবিতে একেবারে ভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেখা যায় বিদ্যাকে। সেই কারণে বিপুল সমালোচিতও হন তিনি। বিদ্যা বালান যদিও নিজেই একসময় স্বীকার করেন যে তিনি সত্যিই 'অন্য কেউ' হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। পরে তিনি সেই সমস্ত চরিত্রই বেছে নিতে শুরু করেন যেগুলিতে তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন। 


আপতত, বিদ্য়ার এই ভিডিওয় মজেছেন তাঁর ভক্তরা।