নয়াদিল্লি: এবার কাস্টিং কাউচের অভিযোগ উঠল দক্ষিণের অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর নিজের ইচ্ছে মতো মেয়েদের ব্যবহার করে গিয়েছেন বিজয়। বিজয়ের হাতে পড়ে এক মেয়েকে রিহ্যাবে পর্যন্ত যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয়। ( Vijay Sethupathi Casting Couch Allegations)

বিজয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন Ramya Mohan নামের এক তরুণী। তাঁর দাবি, বিজয়কে তাঁর অনুরাগীরা মাথায় তুলে রেখেছেন। দেবতা রূপে তাঁর পুজো করা হয়। কিন্তু বাস্তবে বিজয় মহিলাদের নিজের ইচ্ছেমতো ব্য়বহার করেন। বছরের পর বছর এক মহিলাকে ব্য়বহার করেছিলেন তিনি। সেই মহিলা এখন রিহ্যাবে রয়েছেন।  (Casting Couch Allegations)

সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেই বিজয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ওই তরুণী। তিনি লেখেন, ‘ক্যারাভান ফেভার্সের জন্য ২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন বিজয় সেতুপতি, ড্রাইভে যেতে ৫০ হাজার, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর আচরণ সন্তের মতো। বছরের পর বছর (এক তরুণীকে) ব্যবহার করে গিয়েছেন উনি। একটি মাত্র ঘটনা নয়। অথচ এমন পুরুষদের পুজো করা হয়। মাদক এবং যৌনতার এই কুচক্র সক্রিয়। মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়’। 

বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। Ramya Mohan জবাবে লেখেন, ‘ভাবলে অবাক হই যে কিছু অসংবেদনশীল লোকজন খবরের সূত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, নির্যাতিতাকে দোষারোপ করেন। কিছুতেই সত্য মানতে চান না। (ওই তরুণীর) পরিবারও ডায়েরি ও ফোনের চ্যাট দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল’।

দক্ষিণের ছবি যাঁরা দেখেন, তাঁদের কাছে বিজয় অত্যন্ত পরিচিত এক মুখ। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন ভাষার ছবিতে অভিনয় করে গোটা দেশেই নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে সফল হয়েছেন তিনি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার করা বিজয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত তাঁর অনুরাগীরা। 

বিজয়ের বিরুদ্ধে পোস্ট করেও পরে সেটি মুছে দেন Ramya Mohan. তিনি লেখেন, ‘হতাশা থেকে ওই পোস্ট করেছিলাম আমি। ভাবিনি এত প্রতিক্রিয়া পাব। বহু লোক এখন তথ্য জানতে চাইছেন। (নির্যাতিতার) গোপনীয়তা এবং তাঁর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলান আমি’। এত মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে বিজয় কী প্রতিক্রিয়া জানান, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। সেই মতো জবাবও দিয়েছেন বিজয়।

অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন বিজয়। তিনি বলেন, "আমাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা এসব দেখে হাসবেন। আমিও নিজেকে চিনি। এই ধরনের নোংরা অভিযোগ আমাকে দুঃখ দেয় না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠরা আহত, কিন্তু আমি ওঁদের বলি, 'এসব মাথা থেকে বের করে দাও। গুরুত্ব পেতে এমন করছেন ওই মহিলা। কয়েক মিনিটের প্রচার পেয়েছেন, উপভোগ করতে দাও'।" ওই তরুণীর বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনের আওতায় মামলাও করেছেন বিজয়। তাঁর বক্তব্য়, "দীর্ঘ সাত বছর এই ধরনের কানাঘুষো শুনতে হয়েছে আমাকে। এই ধরনের আক্রমণ আমাকে কখনও প্রভাবিত করেনি, করবেও না।" এটা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করেন বিজয়।