কলকাতা: প্রয়াত দক্ষিণী অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয়কান্ত (Vijayakanth), তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বৃহস্পতিবার আসে তাঁর মৃত্যু সংবাদ। ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হন এই অভিনেতা। সদ্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। চলছিল চিকিৎসাও। সেখানেও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানে আরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বিজয়কান্তের শরীরের। ‘ভেন্টিলেটর সাপোর্ট সিস্টেম’-এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ডিএমডিকে-র প্রতিষ্ঠাতার।
অনুরাগীদের কাছে বিজয়কান্ত পরিচিত ছিলেন 'ক্যাপ্টেন' নামে। এর আগে, গত নভেম্বরেও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ১৪ দিন অবসারভেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু এই বার, কোভিড আর নিউমোনিয়ার কাছে হেরে গেল তাঁর প্রাণশক্তি। বিজয়কান্তের জনপ্রিয়তা ছিল প্রবল। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে তামিলনাড়ুর ইন্ডাস্ট্রি বিজয়কান্তের সঙ্গে তুলনা টেনেছিল প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তথা এডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রণের। তাঁর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘শ্যামলা এমজিআর’। ১৫৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিজয়কান্ত।
কেবল ছবির দুনিয়ায় নয়.. রাজনীতিতেও বেশ উজ্জ্বল কেরিয়ার ছিল বিজয়কান্তের। আজ, ডিএমডিকে-র (Desiya Murpokku Dravida Kazgam) অফিসে কিছুক্ষণের জন্য আনা হবে তাঁর দেহ। ডিএমকে এবং এডিএমকে-র দ্বৈরথের মধ্যে, সফলভাবে তৃতীয় ‘মেরু’ তৈরি করতে পেরেছিলেন বিজয়কান্ত। তাঁর নতুন দলের হাত ধরেই। ২০০৫ সালে নয়া দল ডিএমডিকে গড়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন বিজয়কান্ত। ২০১১-য় এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার হাত ধরে ২৯টি আসন জেতে বিজয়কান্তের ডিএমডিকে। এরপরে জয়ললিতার সঙ্গে জোট ভাঙায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হন বিজয়কান্ত। শোনা যায়, ‘আম্মা’ উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব দিতে রাজি না-হওয়াতেই জোট ভেঙেছিলেন ‘ক্যাপ্টেন’।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।