মুম্বই: প্রথম স্ত্রী গীতাঞ্জলির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর কবিতা দফতরিকে বিয়ে করেছিলেন বলিউডের সদ্যপ্রয়াত অভিনেতা বিনোদ খান্না। কবিতা বিনোদের থেকে ১৩ বছরের ছোট। বিনোদের প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান রাহুল ও অক্ষয় খান্না। দ্বিতীয় স্ত্রী কবিতারও দুই সন্তান। কন্যা শ্রদ্ধা ও ছেলে সাক্ষী।


বলিউডের প্রয়াত তারকা বিনোদের আধ্যাত্মিক জগতের প্রতি আকর্ষণের কারণেই তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। ওশোর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আমেরিকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন বিনোদ।

১৯৭৮-এ কেরিয়ারের মধ্যগগনে এক সাংবাদিক বৈঠকে ফিল্ম কেরিয়ার ছাড়ার ঘোষণা করেছিলেন।

পরিবারের কাছ থেকে দূরে আমেরিকায় থাকার কারণে প্রথম স্ত্রী গীতাঞ্জলির সঙ্গে বিনোদের সম্পর্কে চিড় ধরে। আর এরই ফলশ্রুতি বিবাহবিচ্ছেদ।

দুই দশক আগে সেলিব্রিটি টক শো ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারওয়াল’-এ বিনোদ তাঁর রাজনীতিতে যোগদান, আধ্যাত্মিকতার প্রতি আকর্ষণ থেকে শুরু করে তাঁর দুটি বিয়ে সহ ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক কথা জানিয়েছিলেন। ওই শো-তেই কবিতা তাঁর উচ্চশিক্ষা, বিনোদের সঙ্গে তাঁর প্রেমকাহিনী, স্বামীর প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন, তা বিস্তারিত জানিয়েছিলেন।



ওই টক শো-তে সিমি বিনোদকে ওশোর সঙ্গে তাঁর যোগদানে পরিবারে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে বিনোদ বলেন, পরিবার খুবই অসন্তুষ্ট ছিল। আমি পরিবারের সঙ্গে ভালোমতোই যোগাযোগ রেখেছিলাম। এমন নয় যে, আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি সবকিছুরই যোগান দিয়ে যাচ্ছিলাম।আর সেটা ছিল মাত্র কয়েক বছরের জন্য।

ওই টকশো-তে বিনোদের সঙ্গে পরে যোগ দেন কবিতা। তখন কবিতা ৩৭ বছরের। তিনি জানান, তাঁর স্বামী সিনেমার তারকা বলে কখনই মাথা ঘামাতেন না তিনি। কখনও তাঁর মনেও হয়নি যে, তিনি একজন সিনেমা তারকাকে বিয়ে করেছেন।

এরপর বিনোদ ও কবিতা তাঁদের প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত ঘটনার কথা খোলাখুলি জানান।

যখন বিনোদ ও কবিতার প্রথম দেখা হয় তখন তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪১ ও ২৮।

কবিতার কথায়, বিনোদের বাড়িতে আয়োজিত একটি পার্টিতে তাঁদের প্রথম আলাপ। অথচ ওই পার্টিতে তাঁর নিমন্ত্রণ ছিল না। বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। কবিতা বলেছিলেন, এটা বোধহয় ভবিতব্য হল। কারণ, এর আগে বা পরে এভাবে কোনও পার্টিতে তিনি যাননি।

বিনোদ বলেন, ওই পার্টির পর তিনি কবিতাকে ফোন করতেন। কিন্তু কবিতা তা উপেক্ষাই করতেন।

কবিতা বলেছেন, বিনোদের সঙ্গে ডেটিংয়ের পরিণতি সম্পর্কে তিনি জানতেন। বিনোদ তিনি অন্তত পাঁচবার ফোন করে দেখা করতে বলতেন। কিন্তু প্রতিবারই না বলতেন তিনি। এভাবে একমাস চলার পর ফোনে তাঁরা দীর্ঘ সময় কথা বলতেন। বিভিন্ন পার্টিতে দেখা হত। তারপর দেখা দেখাসাক্ষাত বাড়তে থাকে।

টক শো-তে কবিতা এরপর খোলাখুলিভাবে জানান, বিনোদ প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁকে বিয়ে করতে চান না। কিন্তু এ কথা জানার পরও কবিতার সম্পর্ক বজায় রাখেন।কারণ,তিনি বিনোদের সঙ্গে মেলামেশা পছন্দ করতেন। তাঁর পরিবার বিনোদের সঙ্গে সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিল। শুধু পরিবারই নয়, বন্ধুবান্ধবদেরও প্রত্যকেরই আপত্তি ছিল।

বিনোদ জানিয়েছেন, এভাবে চলার মধ্যে তিনি কবিতার আরও বেশি করে প্রেমে পড়েন। এরপর তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাব শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন কবিতা।