ধর্ষিতা কিশোরীকে স্কুলে আসতে বারণ, কর্তৃপক্ষের দাবি তার উপস্থিতিতে বদনাম হবে প্রতিষ্ঠানের

Continues below advertisement
নয়াদিল্লি:  সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল দিল্লির বেসরকারি স্কুলে পাঠরত দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। বিনা দোষে নিজের জীবনের ওপর ঘটে যাওয়া ওই ঘৃণ্য ঘটনার ঝড় কাটিয়ে ওঠার পর সেই মেয়েটি ফিরেও যেতে চায় স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু সম্প্রতি সেই মেয়েটির বাবা-মাকে ডেকে দিল্লির ওই বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, তার মেয়েকে সেখানে না পাঠাতে। কারণ, ওই কিশোরী স্কুলে গেলে, তাদের প্রতিষ্ঠানের বদনাম হবে। এরপরই দিল্লি মহিলা কমিশনে গিয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মেয়েটির বাবা-মা। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি মহিলা কমিশন শিক্ষা দফতরকে একটি নোটিস পাঠায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের এধরনের ব্যবহারের প্রেক্ষিতে জবাব তলব করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁদের সন্তানের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ধর্ষিতা কিশোরীকে বলেছে সে যদি স্কুলে না আসে, তাহলে তাকে একাদশ শ্রেণীতে তারা প্রমোশন দেবে। এমনকি মেয়েটির নিরাপত্তার বিষয়ও কোনও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে তারা। মেয়েটিকে স্কুলের বাস পরিষেবাও ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। এইমুহূর্তে মেয়েটির স্বার্থেই ওই স্কুলের নাম জানাতে চায়নি মহিলা কমিশন। প্রসঙ্গত, কিশোরীটিকে অপহরণ করে, ধর্ষণ করে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় মেয়েটির দোষ কোথায়, জানতে চেয়েছে কিশোরীর বাবা-মা। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়েটির ওপর স্কুলে যে মানসিক নির্যাতন চলছে তার সমাধানও চাওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল মেয়েটির পাশে অন্য কোনও ছাত্রীকে বসতে দিচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী জয়হিন্দের বক্তব্য, এধরনের ব্যবহার আজকের যুগে দাঁড়িয়ে কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ একান্ত প্রয়োজনীয়।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola