৭০ ও ৮০-র দশকে চুটিয়ে গান গেয়েছেন অনুরাধা। কিন্তু শ্রেষ্ঠ সময় দেখেন ৯০-এ। ‘আশিকি’, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ আর ‘সাজন’-এর নেপথ্য সঙ্গীত তাঁকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে দেয়। অনুরাধা জানিয়েছেন, ‘আশিকি’ ও ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ মুক্তির ঢের আগেই সিনেমা জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঠিক করেছিলেন, কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময়ে আচমকা সিনেমায় গান গাওয়া ছেড়ে দেবেন, যাতে সকলে মিস করেন তাঁকে।
দীর্ঘদিন ধরে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মনস্থির করলেও এ নিয়ে আগে কাউকে ঘুণাক্ষরেও বলেননি অনুরাধা। কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি এ নিয়ে। বিষয়টি শুধু তিনি ও তাঁর ঈশ্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কেন এখনও গান গাইছেন- লোকে এই প্রশ্ন করার আগেই ছবির দুনিয়া ছেড়ে রানির মত বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
অনুরাধা জানিয়েছেন, ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ও ‘কর্জ’-এর সাফল্যের পর ‘হিরো’ সুপারহিট হয়। কিন্তু তারপর টানা ৪ বছর তাঁর হাতে প্রায় কোনও কাজই ছিল না। তখন থেকেই তাঁর ভজন গানের জগতে পা রাখা।
কিন্তু কোনও মিউজিক কোম্পানিই শুরুর দিকে ভজগ গাওয়াতে চায়নি তাঁকে দিয়ে। তারা চেয়েছিল, তিনি গজল গান, ভজনের কোনও বাজার নেই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি উল্টে গিয়েছে।
তবে আজকালকার গানের জগতের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারবেন না বলেই মনে করেন অনুরাধা। জ্যাজ, পপ, রক ধাঁচের মিউজিকের সঙ্গে গাইতে পারেন না তিনি। সে জন্য কোনও আফশোস নেই তাঁর। তবে মনে করেন, এখনকার গায়ক গায়িকারা সঙ্গীতের মাধ্যমে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলার চেষ্টা করেন না। সবার গলা একইরকম মনে হয়। মাত্র চারটে নোটের ওপর আজকাল গোটা গান তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।