কলকাতা:  ‘মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, আর সেটা একা করা যায় না।  একটা সিস্টেমের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। বিজেপি যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে আমরা সেটাই চাই’  রাজনীতির আঙিনায় পা রেখে এই কথাটাই প্রথম বলেছিলেন পায়েল সরকার। আজ জে পি নাড্ডার সভায় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন অভিনেত্রী।


রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে নাকি কথাবার্তা চলছিল অনেকদিন থেকেই। পায়েল বলছেন, ‘আমি সবসময়ই সাম্প্রতিক ঘটনার খবর রাখতে, সেইসব নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসতাম। তবে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদানের কথা ভাবিনি কখনও। সত্যি কথা বলতে এর আগে যোগদানের অফার পাইনি। যখন অফার পেলাম, মনে হল এটাই সঠিক সময়।’


মানুষের কাজ করার জন্য সিস্টেমের প্রয়োজন। কিন্তু বিজেপিকে কেন বেছে নিলেন পায়েল? উত্তরে অভিনেত্রী বলছেন, ‘২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করছি। বিজেপি সরকারের আমলে ভারতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমন অনেক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ বিজেপি সরকার নিয়েছে যা অন্য কোনও সরকার নিতে পারেনি। এমন ছোট ছোট অনেক কিছু জিনিস আমায় আকর্ষণ করেছে।’


শুধু পায়েল নয়, নির্বাচনের আগে ‘তারকাখচিত’ হয়ে উঠছে সব দলই। রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ, মানালী দে, কাঞ্চন মল্লিক, দীপঙ্কর দে, ভরত কল, শ্রীতমা সহ একঝাঁক রুপোলি পর্দার পরিচিত মুখ সদ্য যোগ দেন তৃণমূলে। অন্যদিকে যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ থেকে শুরু করে বিজেপির তারকা তালিকাও নেহাৎ কম নয়। সেই তালিকাতেই নতুন সংযোজন পায়েল সরকারের নাম। টলিউডে টিঁকে থাকতে গেলে কী জরুরি হয়ে পড়ছে রাজনীতিতে যোগদান? পায়েলের মতে কখনোই এমনটা নয়। বললেন, ‘রাজনীতি আর অভিনয় দুইই আলাদা আলাদা ক্ষেত্র। এদের মধ্যে যেমন কোনও যোগ নেই, তেমনই বিরোধও নেই। চাইলে ২ দিকেই সমান সফল হওয়া যায়। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকাটা ব্যক্তিগত পছন্দ।’


মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান থেকে শুরু করে দেব, তৃণমূলের অনের সাংসদই পায়েলের ভালো বন্ধু। তবে তাঁদের বন্ধুত্বের যোগসূত্র রাজনীতি নয়, অভিনয়। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ কি ছাপ ফেলবে সেই বন্ধুত্বে? ‘একেবারেই না’, খুব জোর দিয়ে বললেন পায়েল। ‘আমি রাজনৈতিক পরিচয় আর বন্ধুত্বকে আলাদাই রাখব সযত্নে। বিজেপিতে যোগদানের পর আমায় দেব শুভেচ্ছাও জানিয়েছে। বনি, পার্নো, রাজাদাও (বনি সেনগুপ্ত, পার্নো মিত্র, রাজা চন্দ) শুভেচ্ছা জানিয়েছে।’


নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ পেলে কোন ইস্যু সামনে রাখবেন? ‘আমি যদি কোনও কেন্দ্র থেকে টিকিট পাই তাহলে সেখানকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করব। বললাম না, মানুষের জন্য কাজ করতেই দলে এসেছি।’ পায়েলের গলায় প্রত্যয়।