মুম্বই: বক্স অফিস কালেকশনের হিসেবে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলিউড তারকা অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar)। চলতি বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া তাঁর কোনও ছবি চলেনি। 'বচ্চন পাণ্ডে', 'সম্রাট পৃথ্বীরাজ', 'রক্ষা বন্ধন', একের পর এক ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর তা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সম্প্রতি তাঁর ছবি 'কাটপুতলি' মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সেটি কিছুটা সাফল্যের মুখ দেখেছে। অক্ষয় কুমারের কেরিয়ারে এমন কঠিন সময় আগেও এসেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক সুনীল দর্শন অভিনেতার সেই কঠিন দিনগুলির স্মৃতিচারণা করেন।


কী হয়েছিল অক্ষয় কুমারের সঙ্গে?


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক সুনীল দর্শন জানাচ্ছেন যে, কেরিয়ারের শুরুর দিকের ব্যর্থতা এবং প্রযোজকের অপমান কতটা মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। সেই পরিস্থিতি তিনি কাটিয়ে উঠেছেন। ফের হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। আর আজ তিনি বলিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন। প্রযোজক জানাচ্ছেন, 'জানোয়ার' মুক্তির আগে প্রযোজকের কাছ থেকে মারাত্মকভাবে অপমানিত হন অভিনেতা। তিনি বলছেন, 'তখন 'জানোয়ার' মুক্তি পাবে বাকি আর মাত্র মাস দুয়েক। একজন অক্ষয় আমার কাছে এসে বলল, সুনীল জি আমি নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার যে ছবিটা মুক্তি পেতে চলেছে, তার কোনও পোস্টার এখনও দেয়নি প্রযোজক। একটাও হোর্ডিং পড়েনি কোথাও।' তিনি যখন অভিনেতার কাছে জানতে চান যে, কেন ওই প্রযোজক এমন করছে বা কী বলছে, তখন অক্ষয় বলেন, 'প্রযোজক আমাকে বলেছে যে আমার যোগ্যতা নেই পোস্টারে মুখ দেখানোর। কোনও হোর্ডিংয়ে মুখ দেখানোর মতো যোগ্যতা আমার নেই।'


আরও পড়ুন - Ranveer Singh: প্রকাশ্যে রণবীরকে কষিয়ে চড় তারই দেহরক্ষীর! তারপর?


এরপর সুনীল দর্শক জানাচ্ছেন যে, তাঁর অক্ষয় কুমারের কথা শুনে খুব খারাপ লাগে। তিনি নিজে বিনিয়োগ করে বিলবোর্ড, হোর্ডিং লাগানোর ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর দৌলতে 'জানোয়ার' ছবির হোর্ডিং দেখা যায়। তিনি বলছেন, 'আমি 'জানোয়ার'-এর বড় একটা হোর্ডিং লাগানোর ব্যবস্থা করি। আর বলি, একটা কাজ করো। দুজন নায়িকার ছবি দরকার নেই। শুধু অক্ষয় কুমারের ছবি থাকুক। মানুষ যাতে ছবির গুরুত্ব বুঝতে পারে। আমি ওকে সবসময় অ্যাসেট হিসেবে ব্যবহার করে এসেছি।'


প্রসঙ্গত, বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পায় 'জানোয়ার'। দর্শকদের মনেও অক্ষয় কুমারের অভিনয় গেঁথে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, অসম, পশ্চিমবঙ্গে খুব ভালো ব্যবসা করে। এছাড়াও মুম্বইয়েও উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করে ছবিটি।