কলকাতা: কথায় বলে, দর্শকের চোখে জল আনা সহজ, কিন্তু মুখে হাসি আনা তত সহজ নয়। সেই কঠিন কাজটারই দায়িত্ব নিয়েছিলেন অভিনেতা সতীশ শাহ (Satish Shah)। প্রথমে আসরানি আর তারপরেই সতীশ শাহ, বলিউড হারাচ্ছে একের পর এক হাসির রাজাকে।  'সারাভাই ভর্সেস সারাভাই', 'যানে ভি দো ইয়ারো' ও 'ম্যায় হুঁ না'-তে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি, তবে তাঁর সিনেমার তালিকা বানাতে বসলে, তা রীতিমতো লম্বাই হবে। ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই অভিনেতা, ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়। 

Continues below advertisement

বলিউডে একেবারে ফুলে বেছানো ছিল না সতীশ শাহের পথ, যথেষ্ট লড়াই করেই তাঁকে জায়গা করে নিতে হয়েছে বলিউডে। ১০০-র বেশি সিনেমায় অভিনয় করার পরেও নাকি, কেউ অভিনেতা বলে মনেই করতেন না সতীশ শাহকে! একবার নিজের মুখেই এই আফশোস করেছিলেন সতীশ শাহ। ২০২৩ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সতীশ শাহ আক্ষেপ করেছিলেন যে, পরিচালকেরা তাঁকে নাকি সবরকমের চরিত্রে কল্পনা করতে পারেন না। এমনকি তাঁকে নাকি সবরকম চরিত্রে মানায় না কেবল তাঁর চেহারার জন্য, এমনটাই মনে করতে অনেক পরিচালক, আক্ষেপ ছিল সতীশ শাহের। 

সতীশ শাহ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'যখন আমি FTII থেকে আসি, সেই সময়ে অভিনেতা সম্পর্কে বেশ কিছু বন্ধমূল ধারণা ছিল। সেই ছকে বাঁধা ধারণাগুলির মধ্যে আমি পড়তাম না। একজন কমেডিয়ান হওয়ার জন্য যথেষ্ট লম্বা এবং ভাল স্বাস্থ্যের ছিলাম, একজন ভিলেন হওয়ার জন্য আমার মুখ ভীষণ নরম, স্নিগ্ধ, সাধারণ ছিল, আর নায়ক হওয়ার জন্য তো আমি একেবারেই নজরকাড়া সুন্দর ছিলাম না। আমার লড়াইটা সবচেয়ে খারাপ ছিল কারণ আমায় কেউ অভিনেতা বলেই মনে করতেন না। 

Continues below advertisement

আমি যখন কারোর সঙ্গে দেখা করতাম, কেউ ভাবতেন আমি সিনেমাটোগ্রাফার, কেউ ভাবতেন আমি এডিটার বা অন্য কিছু। মানুষের এই ধারণাটা সম্পূর্ণ আমার বিপরীতে যেত। অনেকে আমায় জিজ্ঞাসা করতে, আমার ব্যক্তিত্ব কি আমায় কাজ পেতে সাহায্য করেছে? তাঁদের আমি বলতে চাই, আমার ব্যক্তিত্ব আমায় কাজ পেতে তো সাহায্য করেনি বটেই, উল্টে সেটা আমার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

১৯৮৪ সালে সতীশ শাহ নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ব্রেকটা পান 'ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি'-  হাত ধরে, ছোটপর্দায়। এই ধারাবাহিকে মোট ৫৫টি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সতীশ শাহ।