কলকাতা: ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠকে পারেনি পরিবার। কিংবদন্তির শেষযাত্রা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন ছিল। অনেক অনুরাগীই অভিযোগ তুলেছিলেন, কেন অনুরাগীদের শেষবারের দেখতে দেওয়া হল অভিনেতাকে। তবে, ধীরে ধীরে গোটা পরিবারকেই ফিরতে হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনে। বলিউডের প্রত্যেকেই পরিবারের পাশে রয়েছেন। তবে অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন ও চিরকালই যথেষ্ট চর্চায় থেকে এসেছে। প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত থাকলেও, হেমা মালিনীকে ফের বিবাহ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র! বর্ষীয়ান অভিনেতার প্রয়াণের পরে, কোথায় থাকবেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর?
একটি সাক্ষাৎকারে ববি দেওল সদ্য বলেছিলেন যে, ধর্মেন্দ্র নাকি হেমা মালিনীর সঙ্গে থাকেন না। অভিনেতার বয়স হয়েছে, সেই কারণে তিনি তাঁর ফার্ম হাউজে থাকতেই স্বস্তিবোধ করেন। নিজের ফার্ম হাউজে নাকি প্রকাশ কৌরের সঙ্গে থাকেন তিনি। এই তথ্যে অবাক হয় অনেকেই। প্রায় সবাই অনুরাগীই জানতেন যে, ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনী একত্রেই থাকেন। তবে সাক্ষাৎকারে সেই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন ছেলে ববি দেওল। তিনি বলেছিলেন যে, ধর্মেন্দ্রর বয়স হয়েছে আর ফার্ম হাউজের খাবার এবং আবহাওয়া বেশ ভাল । সেই কারণেই ফার্ম হাউজে থাকেন ধর্মেন্দ্র। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পরে কোথায় থাকবেন প্রকাশ কৌর?
জানা যাচ্ছে, প্রকাশ কৌর মূলত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মূলত থাকলেও, প্রকাশ কৌর মাঝেমধ্যেই ছেলেদের কাছে গিয়ে থাকতেন। ছেলে সানি দেওলের সঙ্গেই থাকতেন প্রকাশ কৌর। শোনা যাচ্ছে, কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণের পরে ছেলে সানি দেওলের সঙ্গে থাকতে পারেন প্রকাশ কৌর। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পরে সবাই যখন তাঁর বাড়িতে আসছেন, সেই সময়ে হেমা মালিনীকে দেখা যায় গাড়ি করে তাঁর বাড়িতে আসতে। তবে ক্যামেরার সামনে আসেননি ধর্মেন্দ্রর প্রথমা স্ত্রী প্রকাশ কৌর।
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বাসভবনের সামনে ভিড় জমান অনুরাগীরা। তবে বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃতদেহ এমন কোথাও সংরক্ষণ করে রাখার ব্য়বস্থা করা হয়নি যেখানে অনুরাগীরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে পারবেন। সম্মান জানাতে পারবেন। ধর্মেন্দ্রর মৃতদেহ একবার ও অনুরাগীদের সামনে নিয়ে আসা হয়নি। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেখা যায়, গাড়িতে করে এসে পৌঁছন হেমা মালিনী। একটি গোলাপি সালোয়ার কামিজ পরেছিলেন তিনি। থমথমে মুখে, পাপারাৎজিদের দেখে হাতজোড় করে চলে যান তিনি। ওড়নায় মুখ ঢেকে তড়িঘড়ি শ্মশানে পৌঁছন কন্যা এশা। ধর্মেন্দ্রর ২ ছেলে মিলে তাঁর শেষকৃত্য করেন।