মুম্বই: বলিউড তারকারা (Bollywood Stars) সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা সাধারণ মানুষের জীবন, সর্বত্রই খানিক প্রভাবশালী (infuential)। ফলে তাঁরা নিজেদের ইতিবাচক কার্যকলাপ দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিশেষ সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষমতা রাখেন। একই বিষয় ঘটে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ও। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, উদ্যোগ দ্বারা বি-টাউনের মানুষ পরিবেশ-বান্ধব নানা অভ্যাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেই থাকেন। প্রত্যেক মানুষের ছোট ছোট উদ্যোগই তো একত্রিত হয়ে, এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই সরকার, বিভিন্ন সংস্থার একসঙ্গে কাজের ফলেই তো আমরা আরও সুস্থ ও সবুজ এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
আজ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (World Environment Day) দেখা যাক এমনই কিছু বলিউড তারকাকে যাঁরা এই পৃথিবীকে আরও খানিক বাসযোগ্য করে তোলার জন্য, আরও সুন্দর করে তোলার জন্য কাজ করে চলেছেন।
প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস (Priyanka Chopra Jonas)
গ্লোবাল তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, বহুদিন ধরেই ইউনিসেফের সঙ্গে জড়িত। এই আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে টেকসই অভ্যাসের প্রচার ও শিশুদের বেঁচে থাকার জন্য যোগ্য পৃথিবী তৈরির কাজ করে চলেছেন। এছাড়া অগুন্তি পরিবেশ বিষয়ক ক্যাম্পেনের সঙ্গে জড়িত তিনি। পরিবেশ বান্ধব অভ্যাস গ্রহণ করা কতটা প্রয়োজন, তা বারবার নিজের কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর অংশ নেওয়া এমনই উল্লেখযোগ্য একটি ক্যাম্পেন 'গ্রীনথন'।
অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)
বলিউডের শাহেনশা তাঁর সমর্থনের হাত এগিয়ে দিয়েছেন 'পিপল ফর দ্য এথিকল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস' অর্থাৎ পেটার দিকে। এই সংস্থা মূলত পশুদের কল্যাণ এবং অধিকার নিয়ে কাজ করে। এই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি প্রায়ই পশুদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলেন। এছাড়া অভিনেতা 'গ্লোবাল কুল' নামে এক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ভারতের সাংঘাতিক পরিমাণে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। এই পার্টনারশিপের কারণই হচ্ছে মানুষকে এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে বোঝানো এবং তা ঠেকাতে একযোগে কাজে উৎসাহিত করা।
দিয়া মির্জা (Dia Mirza)
ভারতের 'ইউএন এনভাইরনমেন্ট গুডউইল অ্যাম্বাসাডর' দিয়া মির্জা প্রায়ই পরিবেশ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে সোচ্চার হন। তার মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন যেমন থাকে, তেমনই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, টেকসই জীবনযাপন পদ্ধতিও আছে। অভিনেত্রী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথকীকরণের ক্ষেত্রেও নানা মতামত প্রকাশ করে থাকেন। এছাড়া তিনি ভারতের বন্যপ্রাণী ট্রাস্টের সঙ্গেও জড়িত যা 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান'-এর যুবা প্রোগ্রাম। এছাড়া দিয়া মির্জা 'স্যাংচুয়ারি নেচার ফাউন্ডেশন'-এর সদস্যা হিসেবে বন্যপ্রাণী ও তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও কাজ করেন।
আলিয়া ভট্ট (Alia Bhatt)
আলিয়া ভট্ট একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছেন যার নাম 'কোএক্সিস্ট'। মূলত প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সমঝোতাপূর্ণ একসঙ্গে বসবাসের সমতা বজায় রক্ষাই এর উদ্দেশ্য। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির সঙ্গে সহবাস এবং মানুষের প্রত্যেক কাজ কীভাবে প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলে সেই বার্তাই সকলের মধ্যে পৌঁছে দেন 'রাজি' অভিনেত্রী। পশুপাখির কল্যাণের জন্য তাঁর প্রচেষ্টার জন্য আলিয়া পরিচিত। পশুপ্রাখির সংরক্ষণ, তাদের দেখভালের জন্য প্রায়ই সরব হন তিনি, এছাড়া একাধিক অ্যাডপটেশন ক্যাম্পেইনেও অংশ নেন তিনি। প্লাস্টিক দূষণ রোধ সংক্রান্ত একাধিক ক্যাম্পেইনের সঙ্গেও জড়িত 'আর আর আর' অভিনেত্রী। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হ্যাশট্যাগ শুরু করেন, 'বিট প্লাস্টিক পলিউশন'।
অজয় দেবগণ (Ajay Devgn)
অজয় দেবগণের এক উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হচ্ছে গুজরাতের পাটান জেলায় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেন। পুর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস তৈরিতে এই প্রকল্প সাহায্য করে। খুব সক্রিয়ভাবে অজয় দেবগণ পরিবেশ বান্ধব শক্তি তৈরি ও ব্যবহারের প্রচারের জন্য সবুজ ভবিষ্যতের জন্য পুর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের প্রচার করতে চান তিনি।