জি বাংলা সারেগামাপা-য় সেরার শিরোপা পেয়েছেন অতনু, দেয়াশিনী। এতদিনে তাঁদের নাড়ি-নক্ষত্র জানতে কারও বাকি নেই। কিন্তু জানেন কি তাঁরা একই গুরুর ছাত্র - ছাত্রী ? একই ব্যক্তির তালিমেই তাঁরা এগিয়ে গিয়েছেন সুরের লড়াইয়ে। সেই ব্যক্তির নাম অনুষ্ঠানের সময় জানা যায়নি। সেরার শিরোপা পাওয়ার পর দুই শিষ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন গুরুপ্রণাম। সকলে ধন্য-ধন্যও করছেন তাঁকে। গুরুও দুই শিষ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দুই জনই কতটা পরিশ্রমী ও ব্যতিক্রমী, জানিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম সীমান্ত সরকার। তিনি জানিয়েছেন, দুই ছাত্রছাত্রী কোন মন্ত্রে সাধনায় এগিয়ে গিয়েছেন।
সীমান্ত সরকারের ছাত্রছাত্রীরসংখ্যা প্রচুর। দেয়াশিনী তাঁর কাছে দশ বছর হল গান শিখছেন। আর অতনু ৫ বছর। দেয়াশিনী তাঁর কাছে এসে ক্লাস করেন। আর অতনু কাঁথি থেকে আসতে পারে না, তাই ক্লাস করে অনলাইনে। দুজনেই কতটা সিরিয়স জানিয়েছেন শিক্ষক।
তিনি জানিয়েছেন, দেয়াশিনী বরাবরই হোমওয়ার্ক ঠিক করে করে আসতেন, তা সে শরীর খারাপ হোক বা পরীক্ষা । দিনে কম করে ৪ ঘণ্টা রেওয়াজ করতেন তিনি, বা তার থেকেও বেশি । গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তিতেও অটল ছাত্রী । গুরুকে ভালবেসে ডাকতেন 'জোজো দাদা' ।
শিরোপা জেতার পর গুরুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি দেয়াশিনী। তিনি লিখেছেন, ' সারাজীবনে ছোট থেকে বড়, যত বড়ই অ্য়াচিভমেন্ট করে ফেলি, এমন কিছু করব না কোনোদিনও, যাতে আমার গুরুর মনে একফোঁটা কষ্ট হয় আমার জন্য/ আমার কাজে। সেটা করে আমি যেটুকু সাফল্য পাবো, সেটুকুতেই নিজেকে ধন্য মনে করব। এবং খুশি থাকব।'
অতনুও গুরুর কথায় খুবই খুশি। সে লিখেছে, 'স্যার, গুরুজী ও গুরুমা সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আমি যেনো কিছু শিখতে পারি ও ভালো মানুষ হতে পারি'