কলকাতা: আজ তাঁর অনুষ্ঠান করার কথা ছিল সিঙ্গাপুরেই। মাতিয়ে দেওয়ার কথা ছিল দর্শকদের। টিকিট ও শেষ হয়ে গিয়েছিল শো-এর। অনুরাগীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে জুবিন গর্গ (Zubeen Garg) জানিয়েছিলেন, তিনি আসছেন সিঙ্গাপুরের মানুষদের মাতিয়ে দিতে। কিন্তু কথা রাখা হল না। মাত্র ৫২ বছর বয়সে থেমে গেল সুর সফর। প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গ। জানা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে জনপ্রিয় গায়কের। আর তার পরেই মৃত্যু। কেবল মুম্বই নয়, বাংলাতেও একাধিক গান গেয়েছেন জুবিন। মোট ৪০টা ভাষায় গান গাইতে পারতেন জুবিন। বাজাতে পারতেন বহু বাদ্যযন্ত্র। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সঙ্গীত দুনিয়ায়। 

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় জুবিন গর্গের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সঙ্গীতশিল্পীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিনের একটি ছবি শেয়ার করে পাপন নিয়ে লিখেছেন, 'ঘটনাটা ভীষণ অবাক করা। একটা পুরো প্রজন্মের কন্ঠ যেন চলে গেল। খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। এই ক্ষতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একজন বন্ধুকে হারালাম, একজন ভাল মানুষকে হারালাম। বিশাল একটা শূন্যতা তৈরি হল। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।'

 

Continues below advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ায় জুবিন গর্গের একটি রঙিন ছবি শেয়ার করেছেন প্রীতম ও। একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় এমন একজন মানুষকে হারিয়ে ফেলা সবেয়ে দুঃখের খবর। আমি এখনও যেন খবরটা হজম করতে পারছি না। গরিমা আর ওঁর পুরো পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।'

 

আজ এবিপি লাইভ বাংলার সঙ্গে নিজের প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিচারণা করেছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলায় জুবিন কাজ শুরু করেছিলেন জিতের হাত ধরেই। জিৎ বলছেন, 'আমার ৩০ বছরের বন্ধুটা চলে গেল। ওর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল মুম্বইতে। তখন ওর একটা স্টুডিও ছিল, সেখানেই দুজনে একসঙ্গে কাজ শুরু করি। একসঙ্গে কত অ্যাড জিঙ্গল বানিয়েছি, খাওয়া দাওয়া করেছি.. খুব মজা করেই সময় কাটিয়েছি। ওর বাংলা গানে হাতেখড়ি ও আমার হাত ধরেই। আমাদের জুটির একটা অদ্ভুত ম্যাজিক ছিল। সবসময় ক্লিক করত। 'প্রেম' বলে প্রথম একটা অ্যালবাম হল জুবিনের। সেই থেকেই বাঙালি দর্শক ভালবেসে ফেলল ওকে। তারপরে 'পিয়া রে', ‘মন মানে না’, ‘চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম’-এর মতো গান অনুরাগীদের উপহার দিয়েছি আমি আর জুবিন জুটি বেঁধে। আমি বিশ্বাস করি, ওই গানগুলো কেবল এখন কেন, মানুষ ১০০ বছর পরেও শুনবে।'