সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট খুবই ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ভারত সরকার একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছে যেখানে নাম নথিভুক্ত করলেই দেশের যোগ্য ১.৫ কোটি মানুষকে কেন্দ্র বিনামূল্যে ৫ স্টার এসি দেবে। এই যোজনার নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রধানমন্ত্রী মোদি এসি যোজনা ২০২৫'। এই পোস্টের মাধ্যমে মানুষদের দ্রুত আবেদন করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে যাতে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই বাড়িতে এসে এসি ইনস্টল করে দিয়ে যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে প্রেস ইনফরমেশ ব্যুরোর পক্ষ থেকে এই পোস্টের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

Continues below advertisement

দাবি কী

ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়েছে এই পোস্টটি। এই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে কেন্দ্র সরকার খুব শীঘ্রই ২০২৫ সালের মে মাসে বিনামূল্যে এসি বিতরণ শুরু করবে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে। এমনকী এই পোস্ট এও বলা হয়েছে যে শক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য ১.৫ কোটি এসি প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। এই বার্তায় একটি 'কল টু অ্যাকশন' টোনও ছিল যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের এই পোস্ট শেয়ার করা এবং অ্যাকাউন্ট ফলো করার জন্য বলা হয়েছিল।

Continues below advertisement

পিআইবি ফ্যাক্ট চেক

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো গতকাল ১৮ এপ্রিল তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে এই ভাইরাল পোস্টটি তুলে জানিয়েছে যে, এমন কোনও প্রকল্পের কথা সরকার ঘোষণা করেনি। পোস্টের ছবি দিয়ে ব্যুরো এটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছে। বিনামূল্যে ৫ স্টার এসি বিতরণ নিয়ে কোনও সরকার বা কোনও সংস্থা ঘোষণা করেনি বলেই জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।

এই ধরনের ভুয়ো পোস্ট বেশিরভাগ সময়েই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছড়ানো হয়ে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতানো বা অননুমোদিত পেজের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য এই কাজ করা হয়। ব্যবহারকারীদের এই ধরনের পোস্টের সঙ্গে সংযুক্ত লিঙ্কে ক্লিক না করার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও তথ্য দিতেও নিষেধ করা হচ্ছে। কোনও রকম যাচাই না করে এই ধরনের মেসেজের প্রতিক্রিয়া দিতে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে সমস্ত গ্রাহককে।

এই ধরনের ভুয়ো স্কিম বা প্রকল্প নিয়ে পোস্ট ভাইরাল হলেও সেটি যেন কোনওভাবেই গ্রাহকরা শেয়ার না করেন বা ক্লিক না করেন। অবৈধ লিঙ্কে গিয়ে নিজের তথ্য না দেওয়া উচিত। সবসময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের থেকে যাচাই করে নিতে হবে সমস্ত তথ্য। তবে একইসঙ্গে এই রকম সন্দেহজনক সমাজমাধ্যম পেজ, বা কনটেন্ট চোখে পড়লে তা নিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন গ্রাহকরা যাতে ডিজিটাল মিসইনফরমেশন বা ডিজিটাল জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচা যায়।