নয়াদিল্লি : পহেলগাঁও হামলায় ক্ষুব্ধ ভারত পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে। রক্ষে নেই বুঝতে পেরেই কার্যত বিভিন্ন মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ রেখে চলেছে পাক সরকার। কিন্তু, যে কোনও সময় ভারতের তরফে প্রত্যাঘাতের জোর প্রস্তুতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে "আমাদের সরকার যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা ওদের পক্ষে খুবই ভয়ঙ্কর হতে চলেছে" বলে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল দেবেন্দ্র প্রতাপ পাণ্ডে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা নিয়ে এদিন এবিপি নেটওয়ার্কের India at 2047-এর সম্মেলেন নিজের মতামত প্রকাশ করেন তিনি।
এবিপি নেটওয়ার্কের সঞ্চালকের তরফে তাঁর কাছে সরাসরি প্রশ্ন, আমরা কী যুদ্ধের মুখে এসে দাঁড়িয়েছি ?
এর উত্তরে প্রাক্তন সেনা আধিকারিক বলেন, "পাকিস্তান প্রক্সি যুদ্ধ এই কারণে করে, কারণ ওরা জানে যে যখন আমাদের সামনা-সামনি হবে খুব শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হতে হবে। এইজন্য প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যায়। আমাদের আর্মি চতুর্থ স্থানে, আমাদের অর্থনীতিও অনেক আগে। ১৯৬৫ সালে ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, হাজার বছর ধরে ওরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করে যাবে। যতক্ষণ না আমাদের হারাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ ওদের রাষ্ট্রনীতি। ওরা সেইমতো চলে।" তাঁর মতে, "পৃথিবীর কোথাও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হলে, ওরা সেটা শিখে নেয়। সেটা ওরা নিজেদের কৌশল বানিয়ে নেয়। টেম্পার নীচে রাখে যাতে বড় অ্যাকশন না হয়, সংশ্লিষ্ট ঘটনার পর ভারত তাদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধ করে। কারণ, ওরা জানে তা হলে ওদের কী হাল হবে। এইজন্য ওরা ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু, এবার সেটা বেশি করে ফেলেছে। তাই, আমাদের সরকার যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা ওদের পক্ষে খুবই ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।"
তাঁর সংযোজন, "আসীম মুনির ..আজকের তারিখে দাঁড়িয়ে ওঁকে সেনা প্রধান বলুন বা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলুন, হেড অফ স্টেট বলুন...উনিই সব তার জোড়ে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ওঁর কাছে চয়েস কম রয়েছে। বালুচিস্তান রয়েছে, যেখানে একটা পুরো ট্রেন হাইজ্যাক হয়ে গেল। আগের বছর এক হাজার জওয়ান মারা গেছেন। চারদিকে আত্মঘাতী বোমার মহল। পাকিস্তান সেনার আজকের দিন যা পরিস্থিতি, তা নিয়ে মানুষ রিল বানায়। ওঁর মিডিয়া ক্যাম্পেন খুব চলে। যাতে উনি পাকিস্তান সেনা নিয়ে খুব গর্বিত। কিন্তু, গত তিন-চার বছর এবং আজকের সময় পাকিস্তান সেনার ভাবমূর্তি খুবই খারাপ হয়ে গেছে। মানুষ ওদের নিয়ে রিল বানায়। ওদের অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। ওদের কাছে খাবার নেই। জল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পরে হয়ত পান করার জলও থাকবে না। এই সময়ে ওঁকে (আসীম মুনির) কিছু করতে হত। আসীম মুনিরের মাথায় রয়েছে, ইসলামের নামে দেশ একজোট হয়ে যাবে। ভারতের বিরুদ্ধে দেশ একজোট হয়ে যাবে।"