কলকাতা: একটা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় (Save Money) খুবই জরুরি। এরজন্য আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় থাকা জরুরি। তার সঙ্গে অতিরিক্ত খরচেও লাগাম টানা দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে এখনই খরচে লাগাম না টানলে ভবিষ্যতে অর্থ সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তেলের দাম বেড়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। তার সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে অর্থ স়ঞ্চয় করা প্রয়োজন। তার জন্য মেনে চলা দরকার সঠিক কিছু উপায়। যাতে লাইফস্টাইলের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতা না করেই জমিয়ে ফেলা যায় টাকা। বিশেষজ্ঞরা এমনই ৭ পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন।


১. মাসের শুরুতেই একটা কাগজে লিখে ফেলুন সারা মাস কোন কোন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা জরুরি। এছাড়াও কোন কোন খাতে খরচ হতে পারে, তার একটা খসড়া তৈরি করে ফেলুন। সেই অনুযায়ী সারা মাস খরচ করলে অত্যধিক খরচও হবে না। আবার জীবনযাত্রাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।


২. অত্যধিক দামি জিনিসপত্রের পরিবর্তে তুলনায় কম দামি অথচ একই মান বজায় থাকবে, এমন জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করুন।


৩. দোকান থেকে কেনা খাবার কিংবা বার-বার রেস্তোরায় গিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। এতে যে শুধু অতিরিক্ত খরচ বাঁচবে তাই নয়, তার সঙ্গে স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।


আরও পড়ুন - Diabetes: যে ফলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত মধুমেহ রোগীদের


৪. যে জায়গা থেকে কেনাকাটা করেন, তার পরিবর্তে অন্য জায়গা বেছে নিতে পারেন। হতে পারে সেখান থেকে আপনি একই জিনিস তুলনায় কম দামে পাবেন।


৫. যেকোনও জিনিস কেনার আগে দরদাম করুন। সঠিক দ্রব্যের সঠিক মূল্য দিন।


৬. যে সমস্ত বিল অনলাইনে দেওয়া যায়, সেগুলো নগদে পেমেন্ট না করে অনলাইনে পেমেন্ট করুন। অনেকটা ছাড় পেতে পারেন।


৭. অহেতুক জিনিসপত্র কেনার অভ্যাস ত্যাগ করলেই দেখবেন অনেকটা সঞ্চয় হয়েছে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনে  অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।