Ajwain Soaked Water: অনেকেই সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদ খান। কেউ বা খেয়ে থাকেন রসুন। এছাড়া গরম জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এর পাশাপাশি মেথি ভেজানো জল, চিয়া সিডস ভেজানো জল, খোসা ছাড়ানো আমন্ড- সকাল সকাল অনেকেই ওষুধ মনে করে এইসব খাবার খেয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি যদি সকালে খালি পেটে জোয়ান ভেজানো জল খান, তাহলেও একাধিক উপকার পাবেন আপনি। 



  • আপনার যদি বদহজমের সমস্যা থাকে তাহলে তা দূর করতে সাহায্য করবে জোয়ান ভেজানো জল। খুব গুরুপাক খাবার খাওয়ার পর জোয়ান ভেজানো জল খেলে উপকার পাওয়া যাবে। খাবার সঠিক ভাবে হজম হলে অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাসের সমস্যা দেখা যাবে না। 

  • জোয়ানের মধ্যে রয়েছে সলিউয়েবল ফাইবার। এই উপকরণ আমাদের পাকস্থলীর খেয়াল রাখে। এর পাশাপাশি দেখভাল করে অন্ত্রের। তার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। 

  • ওজন বৃদ্ধির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে জোয়ান ভেজানো জল। ওবিসিটি বা স্থূলতার প্রবণতা যাঁদের শরীরে রয়েছে তাঁরা নিয়মিত এই পানীয় খেলে উপকার পাবেন। নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনাদের ওজন। 

  • জোয়ান ভেজানো জল খেলে মানুষের শরীরের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি পায়। তার ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরে যায় এবং নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। 

  • ব্লাড সুগারের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে জোয়ান ভেজানো জল। মূলত ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায় কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই পানীয়। 

  • যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁরা সকালে সামান্য কিছু খেয়ে তারপর জোয়ান ভেজানো জল খেতে পারেন। জোয়ানের মধ্যে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়, নিয়ন্ত্রণে রাখে। 

  • সকালে ঘুম থেকে উঠে হাল্কা গরম জলে জোয়ান মিশিয়ে তারপর তা ছেঁকে খেয়ে নিন খালি পেটে। পারলে জলে অল্প ফুটিয়ে নিন জোয়ান দিয়ে। এই পানীয় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

  • জোয়ানের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপকরণ। এগুলি আমাদের শরীরে রোগ, সংক্রমণ হতে দেয় না সহজে। তাই রোজ জোয়ান ভেজানো জল খেলে উপকার পাবেন অনেক। 

  • জোয়ান ভেজানো জল ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। আর আমাদের শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমবে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ততই ভাল থাকবে। 

  • জোয়ানের মধ্যে রয়েছে ডায়েট্রি ফাইবার এবং হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই দুই উপকরণ ব্যাড কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং লিপড প্রোফাইলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খেয়াল রাখে হার্টের। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।