নয়াদিল্লি: এই ওষুধগুলো একেবারেই ডাল জল ভাতের মতো করে ফেলেছেন অনেকে। অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়েই কিনে খেয়ে নেন এই ওষুধগুলো। এই নামগুলো বোধ হয়, ঘরে-ঘরে সকলের চেনা। অথচ মানুষ জানেই না এগুলো কতটা বিষাক্ত। শুক্রবার সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) বহু ব্যবহৃত চারটি ওষুধকে জাল ওষুধের তালিকায় রাখল। সাধারণভাবে ব্যবহৃত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট Shelcal 500 এবং antacid Pan D ও আছে এই চার ওষুধের তালিকায়।
Benign Prostate Hyperplasia (BPH) বা প্রোস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় Urimax D ওষুধটিকেও এই তালিকায় ফেলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে Deca-Durabolin 25 Injection, যা মেনোপজের পর মহিলাদের অস্টিওপরোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। CDSCO সেপ্টেম্বর মাসের একটি তালিকায় এই ওষুধগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার দাবি, চারটি ওষুধই ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করছিল।
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) ওষুধের গুণমান নিয়ে সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কাশির সিরাপ, মাল্টিভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি 3 সহ অ্যান্টি-অ্যালার্জি ওষুধ, যা মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হল এর মধ্যে সেই ওষুধগুলিও রয়েছে যা ডাক্তাররা সাধারণত রোগীদের দিয়ে থাকেন।
CDSCO-এর তালিকায় নিম্নমানের ওষুধের তালিকায় রয়েছে ওমারিন ডি ক্যাপসুল, নিমেসুলাইড+প্যারাসিটামল, ক্যালসিয়াম 500, ভিটামিন ডি3, প্যানটোপ্রাজল, প্যারাসিটামল পেডিয়াট্রিক ওরাল সাসপেনশন, অ্যাসেক্লোফেনাক, সেটিরিজিন সিরাপ ইত্যাদি। সাধারণত গ্যাস্ট্রিক, জ্বর, কাশি এবং ব্যথার জন্য এই ওষুধগুলি বহুল ব্যবহৃত। এই তালিকায় মোট ৪৯ টি ওষুধ রয়েছে যার মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেন্যান্স অর্গানাইজেশন প্রতি মাসে বাজার থেকে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন প্যারামিটারে পরীক্ষা করে। আর সেই সব পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেই , ওষুধগুলিকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়।
ডিসিজিআই রাজীব সিং রঘুবংশী বলেছেন যে কোনও ওষুধ যদি পরীক্ষার প্যারামিটারগুলির মান ছুঁতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে নিম্নমানের বলা হয়। এ থেকে বোঝা যায়, যে কোম্পানি এই ওষুধটি তৈরি করেছে সেই ব্যাচের ওষুধ মান অনুযায়ী নয়। তারপর এমন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়।
এর আগে অগাস্টের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় ওষুধের মান পরীক্ষাকারী সংস্থা, প্যারাসিটামলসহ ৫৩টি ওষুধকে নিম্নমানের বলে চিহ্নিত করে। চিকিৎসক ডক্টর স্বাতী মহেশ্বরী এবিপি লাইভকে জানান, যে এই ধরনের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আসলে, ক্রমাগত খারাপ মানের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এতে রোগীদের সমস্যা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন, দানার জেরে কালীপুজোতেও কি ভোগাবে বৃষ্টি ? জেনে নিন বড় আপডেট
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।