যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, নিয়ম না মেনে ওষুধ খাওয়া নিয়ে আগে antibiotic-resistant infection নিয়ে সতর্ক করেছিস হু। এবার Lancet আশঙ্কা প্রকাশ করল ভারতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি ভয়ঙ্কর প্রবণতা নিয়ে। ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত এই সমস্যায়। আতঙ্কের নাম bacteria resistant to carbapene। ভবিষ্যতে এই সমস্যা কঠিন জটিল সমস্যায় ফেলে দিতে পারে অনেককেই। জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO report এ বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি ৬ টি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের মধ্যে ১ টি অ্যান্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। বিশ্বজুড়ে এই ভয়ানক প্রবণতা যাঁদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে , তাদের একটা বড় অংশই ভারতীয়। এই ধরনকে হু antimicrobial resistance (AMR) এর একটি অ্যালার্মিং দিক বলে চিহ্নিত করেছে।  

Continues below advertisement

যখন নির্দিষ্ট কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না, তাকেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। এর ফলে সাধারণ সংক্রমণের চিকিৎসা করা কঠিন এবং কখনও কখনও অসম্ভবও হয়ে পড়ে। WHO এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ।  গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স সার্ভিল্যান্স (GLASS)-এই রিপোর্ট অনুসারে ভারতের মতো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এই সমস্যা সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমীক্ষা ১০০ টি দেশের তথ্যের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে।  দেখা গিয়েছে , ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটেক রেজিস্ট্যান্স খুব জোরালো ভাবে দেখা দিয়েছে। রক্ত, মূত্রনালী, অন্ত্র এবং প্রজনন ব্যবস্থার কয়েকটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৪০% এরও বেশি অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না। তথ্য বলছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই বিশ্বব্যাপী ৭৭ লক্ষ মানুষ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন।                          

ভারতে, এই সঙ্কট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।  ল্যানসেটের রিপোর্ট অনুসারে,  ২০২১ সালে, প্রায় ১০.৭ লক্ষ ভারতীয় মারাত্মক, ওষুধ-প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল। এমনকি এ-দেশে আইসিইউ - তে ভর্তি আছেন, এমন ৩০% রোগী এমন সংক্রমণে ভুগছেন যা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সাড়া দেয় না। দেখা গিয়েছে, এইসব ইনফেশনগুলির বেশিরভাগই এমনকিছু বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত, যাকে carbapenem-resistant gram-negative organisms বলা হয়। তাই এই সব প্যাথোজেনগুলির চিকিৎসা করা খুবই কঠিন। তা দ্রুত ছড়াতে পারে হাসপাতালের মধ্যে থেকেও। তাই এই মুহূর্তে নতুন ঝুঁকির মুখে ভারত। 

Continues below advertisement