লিভারের সমস্যা বলতে অনেকেই বোঝেন শুধু জন্ডিস। অনেকেই মনে করেন, লিভার ঠিক ভাবে কাজ না করলে শুধুই সমস্যা হল হজম করতে। কিন্তু শরীরের ভালমন্দ অনেকটাই নির্ভর করে লিভারের উপর। লিভার যদি স্বাভাবিকভাবে কাজ না করে, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। লিভারের সুস্থতায় নজর না দিলে খুবই বিপদ। জাঁকিয়ে বসে নানা জটিল রোগব্যাধি। লিভার ক্যানসার থেকে লিভার সিরোসিস,নানা সমস্যা হতে পারে।            

Continues below advertisement

যখন লিভার দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন শরীরের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।  বিভিন্ন ধরণের ব্যথার কারণ হতে পারে। যখন লিভারের কাজের তাল কাটে, তখন তা বিভিন্ন সংকেত পাঠাতে পারে।             

ফ্যাটি লিভার রোগ কী?বিভিন্ন কারণে যখন লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় তখন সেই অবস্থাকে ফ্যাটি লিভার রোগ হয়। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সিনড্রোমকে অ্যালকোহলিক স্টিটোহেপাটাইটিসও বলা হয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে এই রোগ বাঁধে। ঘটে। আবার একেবারে মদ ছুঁয়ে দেখেননি, এমন মানুষেরও একই সমস্যা হতে পারে। ফ্যাটি লিভার হলে সাধারণত পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব, ক্ষুধা হ্রাস বা ওজন হ্রাস, ত্বকে হলুদ ভাব এবং চোখের সাদা অংশে হলুদ ভাব, পেট এবং পা ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা আসে। 

Continues below advertisement

ফ্যাটি লিভার রোগ আপনার চলাচলের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে?          ফ্যাটি লিভার রোগের ফলে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। এমনকী জীবনযাত্রাতেও প্রভাব ফেলে ফ্যাটি লিভার।   ঘুম এবং হাঁটার ধরনেও আসতে পারে পরিবর্তন।  চলাফেরার পরিবর্তন ফ্যাটি লিভার রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁটার ধরনে সবচেয়ে সাধারণ দুটি পরিবর্তন হল হাঁটতে চলতে এদিক-ওদিক পা পড়া এবং মাথা ঘোরা। এই লক্ষণগুলি সাধারণত নজর করেন না অনেকেই।               

আপনার ঝুঁকি কীভাবে কমাবেন?ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে, ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং গুড ফ্যাট-জাতীয় খাবার খেতে হবে।  স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর উপায়। ফ্যাটি লিভারের রোগীর কাছে অ্যালকোহল বিষপান। ধূমপানের মতো অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।