কলকাতা : মাত্র দু-তিনদিনের ছুটি পেয়েছেন ? এর মধ্যেই কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসতে মন চাইছে ? এমন ঘোরার ইচ্ছে হলে অনেকেরই মনে পড়ে সমুদ্র সৈকত। আর সৈকত বলতেই দীঘা, মন্দারমণি খুব পরিচিত টুরিস্ট স্পট। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে একটি দারুণ টুরিস্ট স্পট। যেখানে গেলেই সমুদ্রের অন্যরকম রূপ দেখে মন ভরে যাবে‌। আর সেই স্পটটির নাম বকখালি‌ (Bakkhali travel)। কলকাতা থেকে মাত্র ৩ ঘন্টার দূরত্বেই এই সমুদ্র সৈকত। থাকা -খাওয়া থেকে আশপাশ ঘুরে দেখার খরচ, সবটাই আপনার নাগালের মধ্যে পাবেন। যাঁরা যাননি এখনও, ঘুরে দেখে আসতে পারেন।


কীভাবে বকখালি যাবেন (Bakkhali tour)?


ট্রেন আর বাস রুট দুটোই রয়েছে। ট্রেনে যেতে হলে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে নামখানা লোকাল ধরতে হবে। নামখানা নেমে মেন রোডে গিয়ে বাস বা অটো ধরে নিন।  বাসের তুলনায় অটোর খরচ বেশি। যেতে সময় লাগবে কমবেশি ৩০ মিনিট। গোটা রাস্তা বাসে যেতে হলে ধর্মতলা যেতে হবে প্রথমেই। সেখান থেকেই পাবেন গন্তব্যে যাওয়ার বাস। চারচাকা গাড়িতে যেতে হলে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে যেতে হবে। কুলপি, কাকদ্বীপ হয়ে সোজা বকখালি। কলকাতা থেকে কমবেশি ১২০ থেকে ১৪০ কিমি পথ।


হোটেল ভাড়া কেমন (Bakkhali hotel booking)?


বকখালির মেন রোডটি সমুদ্র সৈকত বরাবর নয়। বরং রাস্তা যেন সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে। তাই সিভিউ রয়েছে এমন হোটেল বেশি পাবেন না। তবে সৈকত থেকে ৫-১০ মিনিট দূরত্বেই সমস্ত হোটেল পাবেন। নন-এসি হোটেলের খরচ পড়বে ৫০০-৯০০ টাকার মধ্যে। এসি হোটেলের খরচ ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। সি সাইড হোটেলগুলিতে ঘরভাড়া গড়ে ৫০০ টাকা করে বেশি হবে।  হোটেল বকখালি গিয়ে বুক করতে পারেন। অথবা আগে থেকেও বুক করা যায়। বিভিন্ন ট্রাভেল সাইট থেকে বুকিং করা যায়। ইন্টারনেটে অনেক হোটেলের নিজস্ব ফোন নম্বর দেওয়া থাকে। হোটেল রিভিউ দেখে ফোন করেও বুকিং করতে পারেন। সরকারিভাবে থাকার জায়গাও মেলে।


কোথায় খাবেন (Bakkhali restaurants)?


হোটেলের মাঝে‌ মাঝেই পাবেন খাবারের হোটেল। ঝাঁ চকচকে রেস্তোরাঁর সংখ্যা বকখালিতে কম। ফলে বেশিরভাগ হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম সাধ্যের মধ্যেই পাবেন। বকখালির বেশিরভাগ হোটেল অর্ডারমাফিক খাবার রান্নার ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ, আপনি চাইলে মাছ, মাংস কিনে দিয়ে আসতে পারেন। হোটেল থেকেই তা রেঁধে দেওয়া হবে।


বকখালি সাইড সিন (Bakkhali side scene)


সমুদ্রস্নান ছাড়াও বকখালির একদিকে রয়েছে হেনরি আইল্যান্ড, অন্যদিকে রয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ। এই দুই জায়গায় পর্যটনস্থল হিসেবে বেশ বিখ্যাত। হেনরি আইল্যান্ডে অনেকেই এক রাত কাটাতে চান। তেমনটা চাইলে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়া ভালো। অন্যদিকে ফ্রেজারগঞ্জ ফিশিং হারবার একটি দর্শনীয় স্থানই বটে। মাছ ধরার বিশাল যজ্ঞ দেখলে ‘মাছে ভাতে’ বাঙালির পক্ষে লোভ সামলানো মুশকিল।


দীঘা, মন্দারমণির মতোই বকখালিতে দুই রাত তিনদিন ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। এর মধ্যে একটি দিন সাইড সিনের জন্য রাখুন। নতুন যাঁরা যেতে চান, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এক নতুন অভিজ্ঞতা হবে এই ট্যুরিস্ট স্পট। 


আরও পড়ুন: New Year 2024: পাঁচ অভ্যাসেই জীবন বদলে যাবে ! আপনারও কি রয়েছে এমন অভ্যাস ?