কলকাতা: শীতকাল মানেই সর্দিকাশি‌ কাবু করে ফেলে আমাদের।  এই সময় বাতাসে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার মতো অণুজীবের দাপট বেড়ে যায়।‌ তার জেরেই সর্দিকাশির (cold and cough) মতো সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকে। শিশু ও বয়স্করা এই সময় ঘন ঘন ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন। এমনকি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে মৃত্যুর হারও এই সময় বেশি। এই সব সমস্যা সামাল দিতেই চিকিৎসকরা কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার কথা বলেন।‌ খাবারের মধ্যে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বানায়। তবে এই ফল ওই সবজি খাওয়ার তুলনায় চেখে দেখতে পারেন একটি রেসিপি। স্বাদেও যেমন মন ভোলাবে সুস্বাদু রেসিপিটি (food to combat cold), তেমনই সুস্থ রাখবে আপনাকে।‌ রেসিপিটি হল ব্যানানা বেরি স্মুদি (Banana Berry Smoothie)।‌ জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বানাবেন এই দুর্দান্ত রেসিপিটি। 


ব্যানানা বেরি স্মুদির কী এমন গুণ?


ব্যানানা বেরির স্মুদির মূল দুটি  উপাদান হল কলা ও বেরি ফল। কলার মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপকরণ যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি সিক্স, পটাশিয়াম রয়েছে। এই তিনটি উপাদানই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।‌ অন্যদিকে বেরি ফলের মধ্যে পাবেন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।‌ পাশাপাশি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতেও দারুণ উপকারী। কোনধরনের বেরি ফল রাখবেন এই রেসিপিতে? বিশেষজ্ঞদের কথায়, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি রাখতে পারেন আপনার পাতে।


ব্যানানা বেরি স্মুদি রেসিপি: 


কী কী লাগবে: একটা মাঝারি বা বড় সাইজের ফ্রোজেন কলা, আধ কাপ ফ্রোজেন ব্লুবেরি, ৪ ফ্রেশ বা ফ্রোজেন স্ট্রবেরি, এক কাপ দুধ, এক চা চামচ মধু, ২-৩ টে আইস কিউব। 


কীভাবে বানাবেন: এই বিশেষ স্মুদি বানাতে প্রথমে সবকটি উপকরণ একসঙ্গে একটি ব্লেন্ডারে নিন। এর পর যতক্ষণ না একেবারে মিহি হচ্ছে ততক্ষণ ব্লেন্ড করে নিন। স্মুদ ব্লেন্ড হয়ে গেলেই একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে মিশ্রণটি। মিশ্রণটির উপরে কয়েকটি বেরিফল সাজিয়ে দিলেই তৈরি ব্যানানা বেরি স্মুদি।


রেসিপির জন্য একটি টিপস: ফ্রোজেন কলার বদলে ফ্রেশ কলা দিয়েও স্মুদি বানিয়ে ফেলা যায়। এর জন্য পাকা কলা নিতে হবে। পাকা কলা কিছুটা নরম হয়ে এলে সেটি দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে বরফ লাগবে না আর।‌


তথ্যসূত্র: আইএএনএস লাইফ


আরও পড়ুন: Exercise for Mental health: মন ভাল রাখতে কেন ব্যায়াম করতে বলেন চিকিৎসকরা ?