কলকাতা: অফিস-বাড়ি-অফিস--এইভাবেই চলছে দিনের পর দিন। যাঁদের ব্যবসা রয়েছে, তাঁদেরও নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতে হয় কাজের চক্করে। এক জায়গায় বসে কাজ করা, দ্রুত খাওয়ার জন্য ফাস্টফুডে ভরসা করা- সব মিলিয়ে শরীরে ক্ষতি হচ্ছে- আর বৃদ্ধি হচ্ছে একটা জায়গায়-ভুঁড়ি। সোজা দাঁড়িয়ে মাথা নীচু করলে পায়ের আঙুলও চোখে পড়ে না আমাদের অনেকেরই। চিকিৎসকরা কিন্তু পেটের মেদ- বা ভুঁড়ি বৃদ্ধি নিয়ে বারবার সতর্ক করেন। ওবেসিটি (Obesity), ডায়াবেটিস (Diabetes), রক্তচাপ থেকে হার্টের অসুখ- নানা ধরনের রোগ সহজেই থাবা বসাতে পারবে যদি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে মেদ বৃদ্ধি হয় শরীরে। 


অনেক সময়েই ওজন (Weight Loss) কমাতে পারলেও ভুঁড়ি কমে না। দেহের অন্যত্র মেদ ঝরে গেলেও পেটের মেদ ঝরাতে বিস্তর পরিশ্রম করলেও মনের মতো ফল পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে সহায় হতে পারে মেপে খাওয়া-দাওয়া করা। শরীরচর্চার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত ডায়েট সহজেই কমাতে পারে ভুঁড়ি (Belly Fat)। কোন কোন দিকে নজর?


প্রচুর ফাইবার:
ফাইবার (Fibre) হজমে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যে খাবার আমরা খাই, তা যাতে ঠিকমতো পাচন হতে পারে তার জন্য় সাহায্য করে ফাইবার। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার মাত্রা লাগামে রাখতে কাজ করে ডায়েটারি ফাইবার। ফলে উচ্চ-ফাইবার যুক্ত খাবার ওজন কমাতে পারে।


রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটে না:
পরিশুদ্ধ কার্বোহাইড্রেট (Refined Carbs) শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য খুব একটা ভাল না। ওজন (Weight Gain) বৃদ্ধি করে দ্রুত। যেমন ময়দা (Maida)। যাঁদের প্রতিদিন ময়দার তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের ওজন লাগামে আনা খুব সমস্যার। ময়দার তৈরি খাবার সরাতে হবে পাত থেকে। 


৪০-এর পর সাবধান:
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের হজমের ক্ষমতাও কমতে থাকে। বিশেষ করে ৪০ পেরোলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ সেই সময় কার্বোহাইড্রেট হজমের শক্তিও কমে যায়। 


অল্প অল্প খাবার:
ওজন কমাতে চাইলে ভরপেট খাওয়া চলবে না। অল্প অল্প পরিমাণে খেতে হবে এবং সেখানেও উচ্চ ক্যালোরি (High Callories) যুক্ত খাবার রাখা চলবে না। তাহলে শরীর জমে থাকা ফ্যাট খরচ করবে প্রয়োজনীয় ক্যালোরি পেতে। একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাওয়ার বদলে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খেতে বলে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। যদিও এমন করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নওযা প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: সচেতনতা রুখতে পারে কর্কটের থাবা! দোরগোড়ায় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস