Belly Fat: ওজন কমানো (Weight Loss) সত্যিই একটি কষ্টসাধ্য বিষয়। পরিশ্রম যেমন হয়, তেমনই লাগে সময়। আর পেটের মেদ অর্থাৎ 'বেলি ফ্যাট' ঝরানো (Belly Fat) সবচেয়ে পরিশ্রমের। বিশেষ করে তলপেট অংশে জমে থাকা মেদ ঝরতে অনেক সময় লাগে। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে আপনার পেটের মেদও ঝরতে বাধ্য। আর এর জন্য আপনি খাবারে যোগ করতে পারেন কয়েকটি মশলা এবং ভেষজ উপকরণ (Spices And Herbs)। সেগুলি কী কী, একনজরে তালিকাটা দেখে নেওয়া যাক।
আদা
ভারতীয় রান্নায় আদার ব্যবহার প্রায় সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। এই মশলার রয়েছে অনেক গুণ। তার মধ্যে একটি হল ওজন কমাতে সাহায্য করা। আদা খিদে খিদে ভাব কমায়। এছাড়াও শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে আদা। এর মধ্যে এমন কিছু গ্যাসট্রিক এনজাইম রয়েছে যা বদহজমের সমস্যা দূর করে। খাবার সহজে হজম করায় এবং অ্যাসিডিটি, গ্যাস জাতীয় সমস্যা দূর করে।
অশ্বগন্ধা
অশ্বগন্ধা একটি খুবই উপকারি ভেষজ উপকরণ। এই অশ্বগন্ধার সাহায্যে পেটের মেদ কমানো সম্ভব হয়। অনেকে চায়ের মধ্যে অশ্বগন্ধা মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। এনার্জি বৃদ্ধি করতে এবং ওজন কমাতে অশ্বগন্ধা খুব ভালভাবে কাজ করে। এছাড়াও অশ্বগন্ধা আমাদের শরীরে কর্টসলের পরিমাণ কমায়। তার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
মেথি
মেথি ভেজানো জল খেলে সহজে ওজন কমে। তাই অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। এই পানীয় আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। মেথি আমাদের শরীর মেটাবলিজম রেট বাড়ায় এবং তার ফলে কমে ওজন। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে মেথি। এছাড়াও খাবারের প্রতি যে ক্রেভিংস হয় অনেকসময় সেই প্রবণতা কমায় এই মেথি।
দারচিনি
ওজন কমাতে সাহায্য করে দারচিনি। এই মশলা অনেক রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়। চায়ের মধ্যে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ারও চল রয়েছে। দারচিনি মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। তার ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। এছাড়াও খাইখাই ভাব কমায় এই মশলা। নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড সুগারের মাত্রাও।
হলুদ
হলুদের রয়েছে অনেক গুণ। গরম জল কিং গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। কমে অ্যাসিডিটির প্রবণতা। এছাড়াও এই পানীয়ের রয়েছে আরও অনেক গুণ। ওজন কমাতেও সাহায্য করে হলুদ। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। তার ফলে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট বার্ন হয়ে যায় এবং ওজন কমে।
আরও পড়ুন- করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট 'ফ্লার্ট' ! কতটা বিপজ্জনক
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।