কলকাতা: ওজন কমানো, মেটাবলিজম (metabolism) ভাল রাখা। এমন নানা কারণেই ঠিক ডায়েটের খোঁজে থাকেন অনেকে। ইদানিং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় উঠে আসছে বেশ কিছু সুপারফুডের নাম। তার মধ্যেই রয়েছে চিয়া বীজও (chia seeds)।
কী এই চিয়া?
চিয়া সাধারণত মধ্য আমেরিকার একটি উদ্ভিদ। পুদিনার একটি প্রজাতি। বিভিন্ন পোষকপদার্থের (nutrients) উপস্থিতির জন্য এটিকে সুপারফুডও (superfood) বলা হয়ে থাকে। ইদানিং সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে চিয়া।
পুষ্টিপদার্থে সমৃদ্ধ চিয়া
শর্করা, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস-সহ একাধিক খনিজ পদার্থ (minerals) রয়েছে চিয়া বীজে (chia seeds)। এছাড়াও একাধিক ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট (anti oxidants) রয়েছে চিয়া বীজে। রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও। ফলে শরীরে পাচনতন্ত্র ও মেটাবলিজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী চিয়া।
প্রতিদিন নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে বিভিন্নভাবে শরীরে নানা উপকার হতে পারে।
ভরপুর ফাইবার
ছোট্ট চিয়া বীজে ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেক। প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায় এই বীজ থেকে। ফাইবারের প্রাধান্যের কারণে হজমপ্রক্রিয়া ভাল থাকে।
ওজন কমাতে সহায়ক
চিয়া বীজ পাচনপ্রক্রিয়া ঠিক রাখায় কমতে পারে ওজনও। এছাড়াও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সহায়ক। যদিও এই নিয়ে নানারকম মতের দ্বন্দ্ব রয়েছে।
লাগামে কোলেস্টেরল
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য়ের মাধ্যমে দাবি করা হয় নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে শরীরে কোলেস্টরলের সমস্যা কমে। হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, কমায় লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল (ldl)। এই ldl কোলেস্টেরল ক্ষতিকর বলে পরিচিত।
মধুমেহ রোখায় সাহায্য
রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই বীজ। ফ্ল্যাক্স বীজের (flax seeds) মতোই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে চিয়া বীজও।
ভরপুর ওমেগা থ্রি
এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী। হৃৎযন্ত্রের জন্যও উপকারী। ফলে শরীর ঠিক রাখতে প্রতিদিন খাওয়াই যেতে পারে চিয়া বীজ।
কীভাবে খাওয়া যায়
শুধু শুধু খাওয়া যায় না। ফল বা দইয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে খেতে হয় এই বীজ। জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে জলের সঙ্গে খাওয়া যায়। স্মুদি বা শরবতে ব্যবহার করা যায়। স্ট্রবেরি সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। লেবুর রসের সঙ্গে বা দুগ্ধজাত পদার্থের সঙ্গেও মিশিয়েও খাওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: আনিস মৃত্যু তদন্তে সুবিচারের দাবিতে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত আইএসএফের মোমবাতি মিছিল