কলকাতা: 'নববর্ষ মানেই দাদামশাইয়ের সঙ্গে হালখাতা করতে যাওয়া। ওটাই ছিল প্রধান আকর্ষণ। নতুন জামা আর সেইসঙ্গে দুপুরে খাঁটি বাঙালি মেনু।' শৈশবের নববর্ষ কেমন ছিল তার উত্তরে এই স্মৃতিই প্রথম মনে পড়ে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের।


বাংলা বছরের আজ শেষ দিন। চৈত্র সংক্রান্তি। রাত পোহালেই ১৮২৭ পেরিয়ে ১৪২৮ সালে পা দেব আমরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে নববর্ষ পালনের ধারা। কেমন ছিল  শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ছোটবেলার পয়লা বৈশাখগুলো? অভিনেতা বলছেন, 'এই দিনটায় বাড়িতে বাঙালি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হত প্রতিবার। মনে আছে, সুক্তো আর মাছের মাথা দিয়ে ডাল ছিল মাস্ট। প্রতিবছর নতুন জামাও হত। এখনও এই বিষয়গুলো আমার মেয়ের ক্ষেত্রে বজায় রাখার চেষ্টা করি। সেসময়ের আরও একটা আকর্ষণ ছিল, হালখাতা। আমার দাদু, মানে দাদামশাই আমায় হালখাতা করতে নিয়ে যেতেন। মিষ্টির প্যাকেটের ওপর একটা অমোঘ আকর্ষণ কাজ করত বই কি।'


ছোট থেকেই লাজুক ছিলেন। তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন না কোনওবার। শাশ্বত বলছেন, 'এই দিনটায় বসুশ্রী সিনেমা হলে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। সেটা আমি দেখতে যেতাম। অনেক নামী-দামী শিল্পীরা আসতেন। ওখানেই আমি প্রথমবার সামনা সামনি শ্যামল মিত্র, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান শুনেছিলাম। যদিও তখন অনেকটাই ছোট আমি। কিন্তু এই স্মৃতিটা ফিকে হলেও মনে থেকে গিয়েছে।'


কোভিড পরিস্থিতিতেও ফুরসত নেই কাজের। প্রায় রোজই শ্যুটিং ফ্লোরে কাটছে শাশ্বতর। বললেuন, সম্প্রতি অনুরাগ কশ্যপের পরিচালনায় 'দোবারা'-র শ্যুটিং শেষ করলাম। একটি ওয়েব প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে এটি। এছাড়া এখন উত্তম কুমারের বায়োপিকের কাজ চলছে জোরকদমে।' উত্তমকুমারের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলাটা কতটা কঠিন? মানুষের মনে উত্তমকুমারের যে ইমেজটা রয়েছে.. হাসতে হাসতে শাশ্বত জবাব দিলেন, 'দেখুন একেবারে অবিকল কারোও মত হয়ে ওঠা তো সম্ভব নয়। তবে মানুষের মনে যেমন ইমেজ আছে, আমর মনেও আছে। আমিও দর্শক হিসেবেই দেখেছি মহানায়ককে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। বাকিটা দর্শক বলবেন।'