নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বে প্রতি ৬টি মৃত্যুর মধ্যে ১টি মৃত্যুর কারণ হল ক্যানসার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে গোটা বিশ্বে স্রেফ ক্যানসার আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ৯.৬ মিলিয়ন মানুষের। অর্থাৎ প্রায় এক কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল ক্যানসার। এদের মধ্যে ২২ শতাংশ ক্যানসার মৃত্যুর জন্য দায়ী তামাক। হু-র তথ্য অনুযায়ী নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংখ্যা যে দেশে বেশি, সেই দেশগুলোই সর্বাধিক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে।


ভারতের ছবিটা কেমন? ক্যানসার ইন্ডিয়া নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি বছর ১০ লাখের ওপর মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ২০ লাখের ওপর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পুরুষদের মধ্যে ঠোঁট, ফুসফুস, পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনই মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সর্বাধিক। তবে স্তন ক্যানসার যে শুধু মহিলাদেরই হচ্ছে তা নয়। পুরুষদের মধ্যেও এই ধরনের ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে।


বার্ধক্যে থাকা পুরুষদের মধ্যেই স্তন ক্যানসার বাসা বাঁধে,  তবে অল্প বয়সীরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদি প্রথম ধাপেই স্তন ক্যানসারকে শনাক্ত করা যায় তাহলে অল্পবয়সী পুরুষকে বাঁচানো সম্ভব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিশষ করে পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সংক্রামক টিস্যুগুলোকে অপারেশন করে বাদ দিয়ে দেয়। এছাড়াও কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে স্তন ক্যানসার সারানো যায়।


গবেষণায় দেখা গিয়েছে মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই বেশি। যকৃতে সংক্রমণ থেকেই তাদের স্তন ক্যানসার হয়। চিকিৎসকরা মূলত তিনটি কারণকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।


এক. জেনেটিক অর্থাৎ জন্মসূত্রেই পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবানু থাকে। দেখা গিয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পুরুষ বংশানুক্রমিকভাবেই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে।


দুই. শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের অনুপাতের তারতম্যের কারণেও পুরুষদের স্তন ক্যানসার হতে পারে।  মারিজুয়ানার অভ্যাস, থাইরয়েড, ওবেসিটি, যকৃতের কর্মহীনতার কারণেই পুরুষদের স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।


তিন. অনেক সময় পুরুষের অণ্ডোকোষও তাদের শরীরে স্তন ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।