কলকাতা: চাণক্যকে ভারতের শ্রেষ্ঠ বিদ্বান বলে মনে করা হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও চাণক্য আত্মবিশ্বাস বজায় রেখে লক্ষ্যপূরণে সফল হয়েছিলেন। এই পণ্ডিত ব্যক্তিকে রাজনীতি ও কূটনীতির শ্রেষ্ঠ-শিক্ষক মনে করা হয়। এ ছাড়া অর্থশাস্ত্রেও তিনি ক্ষুরধার ছিলেন। মানুষকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলিও অধ্যয়ন করেছিলেন চাণক্য।

বিশ্ববিখ্যাত তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও আচার্য চাণক্যের যোগাযোগ ছিল। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। চাণক্য তাঁর পড়াশুনা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অনুভব করেছিলেন, এক জন ব্যক্তির সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করে তাঁর অভ্যাসের উপরে। অতএব, জীবনে যদি সফল হতে চান, তা হলে চাণক্যের এই কথাগুলি কখনওই ভুলবেন না।

অনুশাসন ছাড়া  সাফল্য অধরা

চাণক্য নীতি বলে, শৃঙ্খলা ছাড়া জীবনে সাফল্য আসে না। যাঁরা জীবনে সাফল্য অর্জন করেন, তাঁদের জীবন অধ্যয়ন করলে দেখতে পাবেন যে সফল ব্যক্তিরা কতটা কঠোর শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন। তাঁদের ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত গোটা দিনটাই অনুশাসনে বাঁধা থাকে।

চাণক্যের মতে, যে ব্যক্তি শৃঙ্খলাপরায়ণ নন, তাঁর জীবনে কখনও সাফল্য আসতে পারে না। সাফল্যের জন্য জীবনে অনুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তির জীবনে কোনও অনুশাসন নেই, তাঁর জীবনে সাফল্যও আসে না। অতএব একজন ব্যক্তির খাওয়া থেকে ঘুমনো পর্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে সমস্ত কিছু করা উচিত। শৃঙ্খলা, যা পরিচালনা করার ক্ষমতা বিকাশ করে, যা সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আলস্য ত্যাগ করুন, আলস্য সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় বাধা

চাণক্যের মতে, অলসতা সাফল্যের পথে প্রধান অন্তরায়। যে ব্যক্তি আজকের কাজ আগামিকালের জন্য ফেলে রাখেন, সাফল্য তাঁর জীবনে অনেক পড়ে আসে। সফল হওয়ার জন্য সময়ের উপযোগিতা জানা এবং বোঝা অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা অলসতায় সময়ের মূল্যকে স্বীকৃতি দেয় না, তারা পরবর্তীকালে তাঁদের এ জন্য মূল্য চোকাতে হয়।