Chia Seeds: আজকাল ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ ভেজানো জল খাওয়ার চল হয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিয়া সিড। শুধু চিয়া সিড ভেজনাও জল নয়, অনেকেই স্মুদির মধ্যে চিয়া সিড মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। কিংবা ব্রেকফাস্টের মেনুতে থাকে চিয়া সিড, দই আর ফল এবং ড্রাই ফ্রুটসের মিশ্রণ। নিঃসন্দেহে এই খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর। চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। ফাইবার থাকায় এই খাবার দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। ফলে খাইখাই ভাব কমে। চিয়া সিড খাওয়া এমনিতে সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালই। তবে একটানা অনেকদিন ধরে খেতে থাকলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত খাবার নাগাড়ে খাওয়া পেটের জন্য ভাল না। বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আর একটা বিষয় জেনে রাখা ভাল। সকলের জন্য কিন্তু চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস ভাল নাও হতে পারে। এই বীজ নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্যে অনেক সমস্যাও দেখা যায়। তাই কাদের চিয়া সিড খাওয়া চলবে না, চলুন দেখে নেওয়া যাক তালিকা। 

  • এমনিতে ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ চিয়া সিড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে অনেকের শরীরের জন্য চিয়া সিড ভাল উপকরণ নাও হতে পারে। কাদের জন্য এই বীজ খাওয়া বিপজ্জনক? চিয়া সিড একটি সুপারফুড। ফাইবার থাকায় অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। খাইখাই ভাব কমায়। তবে যাঁরা ব্লাড সুগারের ওষুধ খান নিয়মিত, তাঁরা চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। এমনিতে চিয়া সিড ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু যাঁরা ওষুধ খান সুগার কমানোর সেক্ষেত্রে চিয়া সিড কার্যকারিতা কমাতে পারে। 
  • লো ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ রক্ত চাপের মাত্রা কম থাকলে নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস না রাখলেই ভাল। লো ব্লাড প্রেশারের রোগীরা রোজ চিয়া সিড খেলে রক্তচাপ আরও কমতে পারে। তার জেরে মাথা ঘোরানো চোখে অন্ধকার দেখার মতো সমস্যা হতে পারে। 
  • একটানা অনেকদিন ধরে চিয়া সিড খেলে কিন্তু পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁদের এমনিতেই পেটের সমস্যা রয়েছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন।
  • লাগাতার চিয়া সিড খেতে থাকলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে। ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা - চিয়া সিডের থেকে এই জাতীয় অ্যালার্জি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।