কলকাতা: ছোট্ট একরত্তির কানে ব্যথা? ছোটবেলায় অনেক শিশুই এই সমস্যায় ভোগে। তবে এই সমস্যাকে নেহাত ছোট করে দেখাও ঠিক নয়। কারণ এই রোগই পরে বড় আকার নিতে পারে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় সম্প্রতি এমনটাই জানা গিয়েছে। গবেষকদের কথায়, কানের এই সংক্রমণ (Ear infection) থেকে শিশুর কথা বলতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি ছোট্ট একরত্তির মুখে বুলি ফুটতেও অনেক সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।


কানের সমস্যাই কেন বড় বিপদ?


জন্মের পর থেকে একটি শিশু যা কিছু দেখে, শোনে ও শেখে, তার ভিত্তিতে কথা বলা শুরু করে। তাই শোনা প্রক্রিয়া যেকোনও শিশুর কাছেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এই শোনার প্রক্রিয়াতে বাধা এলে কথা বলার সময় সমস্যা (Language Development) দেখা দিতে থাকে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেই নিয়েই সাবধান করল এবার। কানের পর্দার পিছনে অনেক সময় তরল জমতে থাকে। সেই তরল ঠিকমতো শোনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি এই তরল অনেক সময় কানে গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে। 


গবেষকরা যা বললেন


প্রধান গবেষক সুসান নিতরুয়ার সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে বলেন, কানের সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে অহরহ দেখা যায়। তাই অনেক বাবা-মায়েরাই এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। মনে করেন, এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেরে যাবে ঠিক। কিন্তু পরিস্থিতি এতে আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। সুসান জানাচ্ছেন, শিশুর কানে ‘মিড ইয়ার ফ্লুইড’  থাকে। এই ব্যাপারে বাবা-মায়েদের গোড়াতেই সচেতন হওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, কানের কোনও সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের কাছেও যাওয়া দরকার।


কী পাওয়া গেল গবেষণায়?


সুসান নিতরুয়ার ও ইউএফ হেলথ ক্লিনিকাল অ্যান্ড ট্রান্সলেশনাল সায়েন্স ইন্সটিটিউটের গবেষক জোয়ানা লোয়েস্টেইন পাঁচ থেকে দশ বছরের ১১৭টি শিশুর উপর এই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ছোটবেলায় কানের সমস্যা ছিল এমন শিশুদের পাশাপাশি সমস্যা ছিল না এমন শিশুদেরও থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। 


প্রাপ্ত তথ্যের ব্লিশেষণ করে দেখা গিয়েছে, যেসব শিশুদের ৩ বছর বয়সের আগে কানে সংক্রমণ হয়েছিল, তাদের ভোকাবুলারির পরিমাণ কম। অর্থাৎ, তাদের পরিচিত শব্দের সংখ্যা যাদের সংক্রমণ হয়নি, তাদের মতো বেশি নয়। অন্যদিকে একইরকম শব্দ হলে শব্দটি আন্দাজ করতেও কিছুটা সময় লাগে তাদের। 


আরও পড়ুন: Diabetes tips: সুগার কবজায় থাকবে সহজেই ! ২০২৪-এ ৫ টিপসই হোক আপনার পাখির চোখ