Coffee Side Effects: অনেকেই চায়ের পরিবর্তে কফি খেতে বেশি পছন্দ করেন। বিশেষ করে কাজের চাপ থাকলে সঙ্গে এক কাপ কফি থাকলে অনেকেই মনে করেন স্ট্রেস কমে। এমনকি মাথার যন্ত্রণা হলে কিংবা কোনও কারণে মন-মেজাজ একেবারেই বিগড়ে থাকলে আমাদের অনেকের মনে হয়, হাতে এক কাপ ভাল গুণমানের কফি থাকা জরুরি। ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফিই আমাদের জীবনের একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান- এই ধারণা অনেকেরই রয়েছে। তবে আদৌ কি এই ভাবনাচিন্তা ঠিক? মানে সত্যিই কি কফি খেলে স্ট্রেস, মাথা ব্যথা, অবসাদ এগুলো কমে? নাকি উল্টে বেড়ে যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কফি খাওয়ার অনেক উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনই কফির অপকারিতাগুলিও মারাত্মক। আপনি কতটা পরিমাণে কফি খাচ্ছেন তার উপরই নির্ভর করবে যে আপনার শরীর-স্বাস্থ্যে কফি ভাল প্রভাব ফেলবে নাকি বিরূপ প্রভাব। চিকিৎসকদের মতে সুস্থ থাকতে স্বল্প পরিমাণে কফি খাওয়াই শ্রেয়। অতিরিক্ত কফি খেলে আমাদের শরীরে ক্যাফাইনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তার প্রভাবে দেখা দিতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা।
কফি কি সত্যিই মাথার যন্ত্রণা এবং স্ট্রেস কমিয়ে আরাম দেয় আমাদের
অনেকেই মাথা যন্ত্রণা করলে কিংবা খুব স্ট্রেসে থাকলে এক কাপ কফি নিয়ে বসে পড়েন। কিন্তু কফি বা ক্যাফাইন কি সত্যিই আমাদের মাথা ব্যথার সমস্যা কিংবা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে? কফির মূল উপকরণ ক্যাফাইন এক অদ্ভুত উপকরণ। অল্প পরিমাণে শরীরে গেলে উপকার অনেক। তবে বেশি কফি খাওয়া হলে গেলে অতিরিক্ত ক্যাফাইনের প্রভাবে বাড়তে পারে স্ট্রেসের মাত্রাও। আর স্ট্রেসের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আপনার মাথা ব্যথা হতে বাধ্য। এছাড়াও বেশি পরিমাণে কফি খেলে শরীরে যে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফাইন প্রবেশ করে, তা আমাদের চুল, ত্বক, লিভার, হৃদযন্ত্র- সবকিছুর জন্যই বেশ ক্ষতিকর। তাই সময় থাকতেই সতর্ক জওয়া প্রয়োজন।
স্ট্রেস কিংবা অ্যাংজাইটি কমাতে চাইলে কফি খেতে পারেন, তবে অল্প পরিমাণে। কারণ বেশি কফি খাওয়া হলে স্ট্রেস কিংবা অ্যাংজাইটি বেড়ে যাবে আপনার। অনেকসময় একটানা কাজ করার পর এক কাপ কফি খেলে বেশ রিফ্রেশ লাগে। তাই বলে সারাদিনে কাপের পর কাপ কফি খাবেন না। একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে বাধ্য। কফিতে থাকা ক্যাফাইন আদতে আমাদের শরীরে ডোপামিনের ক্ষরণে সাহায্য করে। তার ফলে ভাল থাকে মন-মেজাজ। অল্প পরিমাণে কফি খেলে স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি কমবে। ভাল থাকবে মন-মেজাজ। অবসাদ ঘিরে ধরবে না আপনাকে।
আরও পড়ুন- তিল এবং গুড় একসঙ্গে খাবেন কেন? তিলের নাড়ুর এত গুণ জানেন?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।