কলকাতা : বর্ষার মানেই নানারকম অসুখ-বিসুখ। ত্বক থেকে চুল, পেট থেকে চোখ, নানা অসুখ নিয়ে জেরবার মানুষ। এরই মধ্যে ভোগাচ্ছে বাড়ছে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস (conjunctivitis)। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে বাড়ছে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিসের প্রকোপ। হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে ছোটদের ভিড়। উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত হচ্ছে বহু শিশু।
বাড়ছে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিসকে অনেকেই pink eye বলে থাকেন। বছরের যে কোনও সময়ই এই ইনফেকশন হতে পারে। তবে বর্ষায় বাড়ে প্রকোপ। বিশেষত স্কুলে স্কুলে এক শিশু থেকে আরেক শিশুর মধ্যে ছড়াচ্ছে ইনফেকশন। তবে ডাক্তাররা বারবার সতর্ক করছেন, যাতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ না কেনেন আক্রান্তরা। তাতে লাভ বই, ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনই আউটডোরে বাড়ছে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক, এই অসুখের উপসর্গগুলি ।
- একটি বা দুই চোখেই লালভাব। ( Redness in one or both eyes )
- একটি বা উভয় চোখেই অসম্ভব চুলকানি। (Itchiness in one or both eyes)
- চোখে কিছু ফুটছে মনে হচ্ছে (A gritty feeling in one or both eyes)
- রাতের বেলা চোখ দিয়ে তরল নিঃসৃত হওয়া, যা জমে গিয়ে চোখ খুলতে কষ্ট হতে পারে সকালে। ( A discharge in one or both eyes)
- অনবরত চোখ থেকে জল পড়া ( Tearing )
- আলোর দিকে তাকাতে না পারা ( Sensitivity to light) । একে ফটোফোবিয়াও বলে।
এরকম উপসর্গ দেখলে কী করবেন ?
এই সময় আলোচ দিকে তাকালেই চোখে কষ্ট হতে পারে। জল পড়তে পারে। তাই চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে।
আলো এড়িয়ে চলতে রোদচশমা পরতে পারেন। এতে অন্যরাও সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।
কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীরা এই সম কন্টাক্ট লেন্স পরা বন্ধ করুন।
চোখ লাল হতে শুরু করার ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তার দেখাতে হতে পারে।
ডাক্তার দেখিয়ে নিন। বারবার হাত ধোবেন। চোখ ঘষবেন না।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, বাড়ছে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস হলে নিজেকে আইসোলেট করা প্রয়োজন। অফিস, স্কুল বা জন সমাগমের এড়িয়ে চলতে হবে। নিজের ব্যবহৃত জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ করা যাবে না। এমনকী বাড়িতেও চশমা ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দোকান থেকে নিজের পছন্দে আইড্রপ বা মলম কিনে ব্যবহার না করে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ কিনুন।