বারাসাত: একুশের ভোট-পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বিজেপি নেতার খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত আরও এক বিজেপি কর্মী (BJP Worker)। ২০২১-এর বিধানসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় বারাসাতের নবপল্লিতে খুন হন বিজেপি নেতা মহম্মদ আলি।
অভিযোগ, সেই মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী বিজেপি কর্মী খালেদ আলিকে গতকাল রাস্তায় আটকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন জামিনে মুক্ত তৃণমূল কর্মী। তাঁর সঙ্গীকেও কোপানো হয়। গুরুতর জখম দুই বিজেপি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। পরিবারের দাবি, এর আগে বিধানসভা ভোটের পরেও খুনের মামলার সাক্ষী বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ফের একই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত পরিবার। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এ দিকে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) পর্বজুড়েই উত্তপ্ত বাংলা। এ যেন লাশের পাহাড় ভোট ঘোষণার পর মৃত্য়ু!মনোনয়ন পর্বে মৃত্য়ু! ভোটের দিন মৃত্য়ু! গণনার পরও মৃত্য়ু! অন্তহীন মৃত্য়ুমিছিল! ৮ জুন ভোট ঘোষণার পর থেকে, ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
শুধুমাত্র ভোটের দিন, অর্থাৎ ৮ জুলাই সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। ভোটের পর থেকে গণনা, মাঝের এই ২ দিনে খুন ৬ জন। সব মিলিয়ে গত ৩৫ দিনে মৃত্যু হল ৪৭ জনের।
ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ২ জন আইএসএফ কর্মীর। সন্ত্রাসের ভাঙড়ে খুন হতে হল এক সাধারণ গ্রামবাসীকেও। মালদার রতুয়ায় ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার হলেন এক কংগ্রেস কর্মী। চাঁচলে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী।
এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল সাগদিঘির আক্রান্ত কংগ্রেসকর্মীর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘিতে মৃত্য়ু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এদিনই কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেটা উদ্বেগের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন