নয়াদিল্লি: কে কতটা ঝুঁকি নিতে পারেন? ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কে কতটা ঝাঁপাতে পারবেন? কতটা সময় পর্যন্ত ঝুঁকি সহ্য করতে পারবেন? এগুলো নাকি বোঝা যায়। কিন্তু কীভাবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঘুমোনোর সময়েই মস্তিকের কিছু বিশেষ বিষয় (brain wave) দেখে বোঝা যায় ওই ব্যক্তি কতটা ঝুঁকি নিতে পারবেন।  


কোন গবেষণা?
'Neurolmage'-নামের একটি গবেষণাপত্রে বেরিয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণা। স্নায়ুবিজ্ঞানী দারিয়া নচ (daria knoch) জানিয়েছেন, গভীর ঘুমের সময় মস্তিকের prefrontal cortex অংশ থেকে কিছু ওয়েভ বেরোয়। সেটা যাঁর ক্ষেত্রে যত কম বেরোয়, তিনি তত বেশি ঝুঁকি নিতে পারেন। গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বা খেলায় টাকাপয়সা সংক্রান্ত হারজিতের মতো ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকি নেন এই ধরনের ব্যক্তিরা।  কারণ মস্তিষ্কের ওই অংশ কারও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত (impulse) বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি আলাদা আলাদা হয় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।


কীভাবে হয়েছে গবেষণা?
গবেষণাদলের প্রধান লোরেনা জিয়ানোত্তি (lorena gianott) জানান, ঠিকমতো ঘুম হলে এই সমীক্ষা করা সম্ভব। ঘুমোনোর তথ্য পেতে প্রতি ব্যক্তির বাড়িতে পলিসোমনোগ্রাফিক সিস্টেম (polysomnographic) ব্যবহার করা হয়েছে। ঘুমোনোর সময় ওই যন্ত্রের তার ব্যক্তির মাথায় লাগানো ছিল। ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কী কী কাজ হচ্ছে, সেসবই জানা গিয়েছে। ঘুমের সময় মস্তিকের prefrontal cortex অংশ কীভাবে কাজ করে। ব্রেন ওয়েভের মাধ্যমে সেই তথ্যে ভাল করে নজর রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ঘুমনোর সময় মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অর্থাৎ ব্রেন ওয়েভের (brain wave) বিভিন্ন খুঁটিনাটির পাওয়া গিয়েছ। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছে গবষেক দল।   


যাঁদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখ গিয়েছে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বেশি। তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমের মানের বা গভীরতার কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা চলবে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।


আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকে ক্ষতি মস্তিষ্কেও, আশঙ্কার তথ্য গবেষণায়