সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এখনও করোনার প্রকোপ এখনও পুরোপুরি মুক্ত হয়নি দেশ। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ-- সকলেই পরামর্শ দিচ্ছেন, টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই মাস্ক ত্যাগ করবেন না। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিধিতেও বারবার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে।


কিন্তু, সেই নির্দেশ ও পরামর্শ কতটা মানছেন সাধারণ মানুষ?


উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসাতে কিছুটা কমেছে করোনার প্রকোপ। জেলার বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে হাসপাতাল এমনকি ট্রেনের কামরা কেউই মাস্ক পড়ছেন না হাতে গোনা কিছু লোকজন তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন।


প্রত্যেকেরই একটি যুক্তি। পকেটে আছে ভুল করে পরা হয়নি। অনেকের আবার অদ্ভুত যুক্তি এখন এগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। রোগের প্রকোপ কমেছে। সরকারি দফতরের নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু সেই নিয়ম মানে কে।


সরকারি দফতরগুলিতে যাঁরা আসছেন তাঁরা কেউই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এই প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, আবার আগের মতো নজরদারি চালাতে হবে।


পুলিশের বক্তব্য, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা রাস্তাঘাটে কাউকে না পরতে দেখলে ব্যবস্থা নেয়। সবার আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে ।


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আরও বেশ কয়েক বছর ধরে মাস্ক পরাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এখনও সবাই প্রতিষেধক নেয়নি সুতরাং ঝুঁকি একটা থেকেই যায়।


চিকিৎসক তপনজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দেশে হার্ড ইমিউনিটি আস্তে আস্তে তৈরি হতে শুরু করেছে। তাই বলে গা ছাড়া দিলে চলবে না। আমাদের সকলকে এখনও সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তার পাশাপাশি ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।


আইএমএ-র মধ্যমগ্রাম নিউ ব্যারাকপুর লোকাল কমিটির সদস্য চিকিৎসক পঙ্কজ অধিকারী বলেন, এখন উপযুক্ত ভাবে অনেক মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই কারণে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।


নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার জানান, এখনও পুরসভার তরফে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।


এত প্রচার চালানো হচ্ছে তবুও কারও হুঁশ ফিরছে না। স্বাস্থ্য দফতরে পরিসংখ্যান বলছে, করোনার প্রকোপ কমেছে। কিন্তু এই সময়টায় সকলকে সাবধান থাকতে হবে, চালাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তাঁরা আবার সামাজিক দূরত্বের পাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছেন। বলছেন, যেভাবে ট্রেনে বাসে এবং বাজারে ভিড় বাড়ছে সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানতে চাইছে না।