কলকাতা : দেশে করোনা-গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। কমল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,



  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৬ জন।

  • গতকাল দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৫৫১। 

  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের।

  • গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭০।

  • এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৪৯ জনের।

  • মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৯৪।  

    দেশে কোভিডের প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের ঢেউ অবধি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল দ্বিতীয় বর্ষ। কারণ ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে সবথেকে বেশি ভয়াবহতা দেখা দিয়েছিল সেবছরই। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে উৎকণ্ঠা থেকে শুরু করে হুড়োহুড়ি সবই ছিলব। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ যেমন অনেকে পাননি। তেমনই অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বাড়িও ফিরতে পারেননি। তারপর কোভিড বিধির জেরে প্রিয় জনের বিয়োগে, শেষ দেখাটাও দেখতে পারেনি পরিবার। কারণ সংক্রমণের ভয়াবহতা ছড়িয়েছিল সর্বত্র।

    মাঙ্কি পক্স
    অন্যদিকে চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কি পক্সও। রাজ্যে মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করল ৃসরকার। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যল কলেজগুলিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।  সব হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  বেলেঘাটা আইডি-তে ইতিমধ্যেই মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তদের চিকিত্‍সার প্রয়োজন হলে আলাদা বেড রাখা হয়েছে।  স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তদের চিকিত্‍সায় আলাদা বেড প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রতিটি জেলার অন্তত একটি সরকারি হাসপাতালে মাঙ্কি পক্সের জন্য বেড রেখে দিতে হবে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে বেড রাখতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের খোঁজ মিললে অবিলম্ব তা জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে।