নয়াদিল্লি: চিনকে ছারখার করছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে ভারতে, ভয় বাড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7। কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  আগামী ৪০ দিন সতর্ক থাকতে হবে। দেশে করোনা গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। এক নজরে দেশের করোনাগ্রাফ - 



  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৪ জন।

  • গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৮। 

  • দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৯১।

  • স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে ২২০ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৯৫ কোটি ১৩ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ ও ২২ কোটি ৩৯ লক্ষ প্রিকশন ডোজ। 

    এই পরিস্থিতিতে গত ২৮ ডিসেম্বর , নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকে হাসপাতালগুলিকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


  • সরঞ্জাম সব ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট দিতে হবে।

  • রাজ্যজুড়ে করোনার জন্য ৩ হাজার ৭১৮টি বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

  • এদিনের বৈঠকে, কোভিড টেস্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

  • সব ধরনের কিট যেন মজুত থাকে, সেই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

  • হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রাখতে বলা হয়েছে।

  • করোনা আক্রান্তদের উপর বিশেষ নজরদারি করতে হবে।

  • যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দিকে নজর দিতে হবে।

  • এয়ারপোর্টে নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে।

    এক নজরে করোনার উপসর্গগুলি -


  • এক্ষেত্রেও আক্রান্তদের উপসর্গগুলি মোটের ওপর একই। যেমন... 



    • ঠাণ্ডা লাগা 

    • জ্বর

    • ক্লান্তি

    • মাথাব্য়াথা

    • শরীরে অসহ্য় ব্য়াথা

    • গলা ব্য়াথা

    • সর্দি


    Omicron সাব-ভেরিয়েন্ট BF.7: এখনও পর্যন্ত আর যা যা উপসর্গ নিয়ে হাজির হচ্ছে 



    • নতুন এই রূপটি জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি এবং কাশি সহ উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো লক্ষণগুলি উপস্থাপন করে।

    • কিছু রোগী ডায়রিয়া এবং বমি সহ পেট সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও অনুভব করতে পারে।

    • কেউ যদি এই ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, বিশেষজ্ঞরা অবিলম্বে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।

    • তবে আশার কথা, আক্রান্ত হলে কোনো গুরুতর জটিলতা নাও হতে পারে কিন্তু দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে ভাইরাস। অতএব, প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং আইসোলেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


    সতর্কতা
    যেহেতু নববর্ষ উদযাপন প্রায় কাছাকাছি, কোভিড-উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। একটি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন এর মতো মৌলিক পদক্ষেপগুলি সম্ভাব্য বিস্তার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।


    ভারতে এই মাসগুলিতে সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য মৌসুমী অসুস্থতাও সাধারণ। তবে এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়। যদি আপনি বা আপনার আশেপাশের কেউ উপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলি অনুভব করেন, অবিলম্বে কোভিড পরীক্ষা করুন এবং সেল্ফ আইসোলেশনের পথ বাছুন।