নতুন করে কোভিড - হানা দেশে। বাড়ছে কোভিড মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তিনজনই দক্ষিণের রাজ্য কেরল থেকে। সব মিলিয়ে এখন সারা দেশে কোভিড - মৃত্যুর সংখ্যা ৫,৩৩,৩২১।


দেশের করোনা পরিসংখ্যান


বুধবার সকাল ৮ টা অবধি পাওয়া তথ্য অনুসারে এখনও পর্যন্ত এ দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৪.৫ কোটি মানুষ (4,50,05,978)। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪,৪৪,৭০,৩৪৬। এখন কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেশ ভাল ৯৮.৮১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসারে, কোভিড মৃত্যুর পরিমান ১.১৯ শতাংশ। কেন্দ্রের দাবি, এখনও সারা দেশে ২২০.৬৭ কোটি কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 


দেশে কোভিড হানা ও মৃত্যু ঘটনায় তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর নির্দেশিকা পৌঁছে যায় রাজ্যে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কবার্তার পর, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এই নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব। মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে রিপোর্ট। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে হবে বৃহত্তর বৈঠক। শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। সামনেই রয়েছে ক্রিসমাস। তাই জনসমাগম নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য। এর মধ্যেই আবার কোভিড-সতর্কতা। 
এর আগে ২০২২ সালে ক্রিসমাসের পর তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য দেখেছিল দেশ। এবারও বড়দিনের উৎসবের আবহেই করোনা কেসগুলি ধরা পড়ছে। তাই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 


কতটা খতরনাক এই  JN.1 সাব ভ্যারিয়েন্ট ?


কেরলে  COVID-19 সাব-ভেরিয়েন্ট JN.1-এর প্রথম ধরা পড়ে কেরলে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেন, এটি এখনও উদ্বেগের কারণ নয়। তিনি বলেন, “ চিন্তার নও দরকার নেই। এটি একটি সাব-ভেরিয়েন্ট। '


কয়েক মাস আগে, সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং এর সময় , কয়েকজন ভারতীয়ের মধ্যে এই সাব ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যায়।  কেরলে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেJN.1-এর প্রথম কেসটি ধরা পড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। 


দিল্লির গঙ্গা রাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল প্রকাশ  বলেন, ' আরও সতর্ক হতে হবে। আমি মনে করি না যে শুধু সতর্ক থাকা ছাড়া আতঙ্কিত হওয়ার বা অতিরিক্ত কিছু করার কারণ আছে। ' 


 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রবিবার জানায় ভাইরাসটি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপে হানা দিচ্ছে। WHO কোভিড দেখা গিয়েছে এমন দেশগুলিকে আরও শক্তিশালী নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে বড়দিনের  ছুটির মরসুমে  পরিবার এবং বন্ধুদের নিরাপদ রাখতে আরও সতর্ক থাকতে বলেছে ও WHO-এর জনস্বাস্থ্য পরামর্শ অনুসরণ করার আবেদন করেছে।