কলকাতা : মোদি-মমতা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ মাস পর, আবার মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্যের দাবি, এই মুহূর্তে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং জিএসটি বাবদ বকেয়া রয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। সেই নিয়েই আজকের বৈঠক। আর তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছল বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি। 


কী আছে চিঠিতে ?


রাজ্যের বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি নিয়ে তিনি অবহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেন বিরোধী দলনেতার। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা অন্য জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। 
এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, কেন্দ্রের জন দরদী কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।  


 






শুধু চিঠি লিখেই থামেননি তিনি।   দিল্লিতে মোদি-মমতা বৈঠকের দিনই এক চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ নেন শুভেন্দু অধিকারী। আচমকাই নবান্নে হাজির হয়ে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কেন নবান্নে বিরোধী দলনেতা ? শোরগোল পড়ে যায় ।   এদিন বিধানসভায় গিয়ে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সেরে আচমকাই নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন বিরোধী দলনেতা। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ সেখানে যান শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শঙ্কর ঘোষ-সহ আরও তিন বিজেপি বিধায়ক। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পরিসংখ্যান লেখা পোস্টার হাতে নবান্নের ভিজিটর্স রুমে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের দাবিদাওয়া আদায়ে আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই দিনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা পরিসংখ্যান নিয়ে নবান্নে হাজির হন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, 'মমতার সরকার বাংলার মানুষকে
বঞ্চিত করে কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করছে। দিল্লিতে নাটক করতে গেছেন, তাই হাতে-কলমে পরিসংখ্যান নিয়ে নবান্নে হাজির হয়েছি। বলে আসলে ঢুকতে দিত না' । নবান্ন থেকে বেরিয়ে এসে জানান এ-কথা। 

আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি ! ধনকড়কে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ মোদির 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে